প্রকাশ্যে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে ইতিহাসের শিক্ষক চন্দন বসুকে দায়িত্বভার গ্রহণের নির্দেশ রাজ্যপালের। তবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে না জানিয়েই আচার্যের উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজভবনের এই নির্দেশে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই ফের সামনে এল রাজ্য-রাজভবন সংঘাত।
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি শিক্ষা দপ্তরকে জানানো যেমন হয়নি, ঠিক তেমনই উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাও করা হয়নি। এমনকী পূর্বতন অস্থায়ী উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নতুন নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবেও কোনও সাড়া দেননি রাজ্যপাল এমনটাই দাবি শিক্ষা দপ্তরের। সূত্রের খবর, এর জেরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে।
এদিকে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সময় উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিরুদ্ধে বারবার সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ বেআইনি এমনও টুইট করতে দেখা গেছে প্রাক্তন রাজ্যপালকে। এবার ছবি ঠিক উল্টো। আগেরবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল ধনখড় এবার সি ভি আনন্দ বোসের জমানায় উপাচার্য নিয়োগে ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যের।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেখানে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উপাচার্যহীন অবস্থায় পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা জানতে চান তিনি। এরপরই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও বরিষ্ঠ শিক্ষক পালন করবেন বলে জানান আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
এদিকে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চন্দন বসু জানান, ‘আচার্য দায়িত্ব দিয়েছেন বলেই আমি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছি। বার-বার বলছি ৩৩ কোর্সের অনুমতি দেওয়া এখন মুখ্য কাজ। এতে কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যত জড়িত। আর এর অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড কমিশন। তার নিয়ম অত্যন্ত কঠিন। কিছু অ্যাপ্রুভাল হয়েছে। তাই পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের জন্য যা যা করণীয় করব।’