পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নামে সিবিআই সমনের তথ্য সামনে আসতেই কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সুজিত বসুর প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘হাজিরা দেওয়ার পক্ষপাতী এরা নয়। শুধু সিবিআই কেন ইডিরও তদন্ত হওয়া উচিত। যে ব্যক্তির কথা বলছেন আমি কলকাতায় আসার পর নিউটাউন, বাগুইআটি এই সমস্ত অঞ্চল ঘুরে জানতে পেরেছি ভদ্রলোক এক সময় স্টেশনের পাশে এগ রোল বিক্রি করতেন। সেই থেকেই উত্থান। ওঁর এই মডেল স্টাডি করা যেতে পারে। ইডিরও স্টাডি করা উচিত এত টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে! এক সময় সুভাষ চক্রবর্তীকে ধরেছিলেন। তারপর পরবর্তী সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত ধরেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এখন বলছেন দুষ্টু ছেলে।’
এখানেই শেষ নয়, সুজিত বসুর ক্লাবের পুজো নিয়েও নিশানা করতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে। বলেন, ‘শ্রীভূমির পুজোয় নাকি তিন দিন ধরে বিসর্জন হয়। দুষ্টুমি করেন, কী সব হয়। আমার মনে হয় সিবিআই এবং ইডি দুজনেরই তদন্ত করা উচিত এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন এবং ভাগ অন্য কেউ পেয়েছে কিনা সেগুলোও দেখা উচিত।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার বাড়ি বাড়ি গৃহ সম্পর্ক অভিযান ছিল বিজেপির। সেই কর্মসূচিতেই বাগুইআটি জ্যাংড়া এলাকায় যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সেসময়ই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে শাসক দলকে নিশানা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। লিপস এন্ড বাউন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’এটাতে লুকোনোর কোনও বিষয় নেই, বাচ্চারাও জানে লিপস এন্ড বাউন্স কার কোম্পানি। লোকসভায় বিষয়টি তুলেছিলাম। তৃণমূলের ওদিকে সবাই বসেছিল। একটা শব্দ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। একটা কোম্পানির কয়েক বছরের মধ্যে টার্ন ওভার জাম্প। কত গুণ লাফ আর এই কোম্পানিটা কার সবই প্রকাশ্যে। আমার কাছে ওয়েবসাইটের কাগজ রয়েছে। দিয়ে দেব। ক্লাস নাইনে পড়ার সময়েই নাকি উনি সংস্থার মালিক যেখানে পরিষ্কার লেখা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি। লুকোনোর কী আছে? ‘
এরই পাশাপাশি লিপস এন্ড বাউন্স কোম্পানির অ্যাকাউন্ট্যান্টের ফোন বাজেয়াপ্ত প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত। বলেন,’সমস্ত বিষয় সামনে চলে আসবে। রাক্ষসের প্রাণ তো ভোমরায় থাকে। ভোমরায় হাত পড়েছে বলেই তো আছে এখন চেঁচামেচি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে হচ্ছে সবে ছেলেটি এল, সঙ্গে সঙ্গে ওর ওখানে ইডি পাঠাতে হল।’