হাওড়া: রবিনসন স্ট্রিটের পার্থ কাণ্ডের ছায়া হাওড়াতেও। স্বামীর মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন স্ত্রী। বুধবার ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা খোঁজখবর শুরু করেন। তখনই সামনে আসে বিষয়টা। ঘটনাটি ব্যাঁটরা থানা এলাকার ইছাপুর ডুমুরজলার এইচআইটি কোয়ার্টারের। জানা গিয়েছে মৃতের স্ত্রীও অসুস্থ।
এদিন পড়শিরা দুর্গন্ধ পেয়ে চ্যাটার্জিহাট থানাতে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে। মৃত ব্যক্তির নাম সমর ভট্টাচার্য(৮০)। মেঝেতে তাঁর দেহ পড়েছিল। তাঁর স্ত্রী অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় ছিলেন। প্রতিবেশীদের অনুমান, গরমে অসুস্থ হয়েই সম্ভবত মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী ছিলেন। ঠিক কবে সমরবাবু মারা গিয়েছেন তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
গত শনিবারের পর থেকে তাঁকে আর ঘরের বাইরে আসতে দেখেননি প্রতিবেশীরা। বয়সজনিত কারণের জন্য অসুস্থতাও ছিল তাঁর বলেই জানা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। দম্পতির কোনো আত্মীয় রয়েছে কিনা সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ আধিকারিকরা।
দম্পতির প্রতিবেশী প্রশান্ত কুমার পাল জানান দুজনেই সেভাবে মিশতেন না লোকেদের সঙ্গে। গত রবিবারেও তিনি বৃদ্ধকে দেখেছিলেন। শনিবার নববর্ষের দিনে পুজো করতে বেরিয়েছিলেন। বুধবার সকালে তার ছেলে ওই ফ্ল্যাটের সামনে দুর্গন্ধ পেলে তাঁরা খতিয়ে দেখে বোঝেন ভিতরে কিছু একটা ঘটেছে। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে সমরবাবুর মৃতদেহ ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এই দম্পতির একজন ভাইপো আছে বলে জানান তিনি। কিছুদিন পূর্বে সে এই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন বলেই জানান প্রশান্ত কুমার পাল।