টানা দ্বিতীয় জয়, এবারের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডই কি কালো ঘোড়া ?

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এ বারের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। আত্মতুষ্টি ভিড় করতে পারে, এমন আশঙ্কাও ছিল। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী দলকে এক পেশে ম্যাচে হারানোর পর ধারাবাহিকতা ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। উল্টোদিকে, নেদারল্যান্ডস প্রথম ম্যাচে হারলেও একটা সময় অবধি পাকিস্তানকে যথেষ্ঠ বেগ দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানালেও ব্যাটিংয়ে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারল না নেদারল্যান্ডস। টানা দ্বিতীয় জয়। এ বারের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডই যেন কালো ঘোড়া! টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ড। প্রথম ম্যাচে রান পাননি কিউয়ি ওপেনার উইল ইয়ং। দ্বিতীয় ম্যাচে অনবদ্য পারফরম্যান্স। অভিজ্ঞ ডেভন কনওয়ের সঙ্গে জুড়লেন ৬৭ রান। স্পিনার আক্রমণে আসতেই কিউয়ি শিবিরে প্রথম ধাক্কা। কনওয়েকে ফেরান ভ্যান ডার মারওয়ে। উইল ইয়ং ৭০ রান করেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৫১ রান করলেন। ড্যারেল মিচেল অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। তবে অধিনায়ক টম ল্যাথাম অর্ধশতরান করেন। গ্লেন ফিলিপস ও মার্ক চ্যাপম্যান ভরসা দিতে ব্যর্থ। বরং শেষ দিকে বিধ্বংসী ইনিংস মিচেল স্যান্টনারের। মাত্র ১৭ বলে ৩৬ রান করেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান নিউজিল্যান্ডের। হায়দরাবাদের পিচ পরিস্থিতিতে এই রান তাড়া করার জন্য প্রয়োজন ছিল পার্টনারশিপ। নেদারল্যান্ডসকে সেই লক্ষ্যে সফল হতে দেয়নি নিউজিল্যান্ড। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্যান্ডস। তিনে নামা কলিন অ্যাকারম্যান ৬৯ রান করেন। ইনিংসে পার্থক্য গড়ে দিতে পারতেন বাস ডি লিড। তাঁর উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের হাতে ম্যাচের রাশ রাখেন রাচিন রবীন্দ্র। টানা দ্বিতীয় জয় যেন সময়ের অপেক্ষা ছিল। শেষ অবধি ৪৬.৩ ওভারে ২২৩ রানেই শেষ নেদারল্যান্ডস ইনিংস। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারানোর পর এ দিন নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৯৯ রানে জয়। মিচেল স্যান্টনার নেন পাঁচ উইকেট। ম্যাচের সেরাও স্যান্টনার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 4 =