নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতাn রাজ্যে সাইবার থেকে শুরু করে আধার, ভোটার, ব্যাঙ্কিং প্রতারণা নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ। এবার সেই তালিকায় যোগ হল ফ্ল্যাটও। অভিযোগ, একটি ফ্ল্যাট চারটি পৃথক নামে চার বার রেজিßিT্র করা হয়েছে। আর তা দেখিয়ে চারটি আলাদা ব্যাঙ্ক থেকে তোলা হয়েছে মোটা টাকা ঋণ। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে হরিদেবপুরে।
শেষ পর্যন্ত একটি আর্থিক সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে ঠাকুরপুকুর এলাকা থেকে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণদানকারী একটি সংস্থা থেকে হরিদেবপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট-সহ পুরো তিন তলা কেনার জন্য ৬২ লক্ষ টাকা ঋণের আবেদন করেন প্রতারকরা। তা মঞ্জুরও হয়। গত বছর জুন মাসে ঋণ হিসেবে বিল্ডিংয়ের নির্মাণ সংস্থার নামে প্রায় ৫৯ লক্ষ টাকা চেক মারফত ট্রান্সফার হয়। এই ঘটনায় হরিদেবপুর পুলিশ সূত্রে খবর, সর্বশেষ যে সংস্থার নামে ঋণ নেওয়া হয়, সেই সংস্থার কর্তারা জানতে পারেন ওই একই ফ্ল্যাট অন্য একজনের নামে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। সে জন্য অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও নেওয়া হয়। ঘটনাটি জানার পরে ওই সংস্থার আধিকারিকেরা হরিদেবপুর থানার অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ফ্ল্যাটটি অতি অল্প সময়ের মধ্যে চারবার রেজিস্ট্রি হয়েছে এবং প্রতিবার কোনও না কোনও ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে।
একই ফ্ল্যাট চারবার রেজিস্ট্রি করার ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা। এইভাবে অন্য কোথাও ফ্ল্যাট কেনা বেচার নাম কোনও প্রতারণা করা হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারেও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। কারণ, কেষ্টপুর, রাজারহাট এবং তেঘরিয়া-সহ বিধাননগর পুরসভার একাধিক এলাকায় কয়েক মাস আগেই ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন গ্রাহকরা। বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে বিধাননগর পুরসভা। ফ্ল্যাটের নকশার অনুমোদন না দেওয়ার পরেও সেগুলিকে বিক্রি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়। পরবর্তীকালে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিধাননগর পুরসভা।