ম্যাচের রাশ ভারতের হাতে জসপ্রীত বুমরার সৌজন্যে

ভারত কি সমতা ফেরানোর পথে? এখনও অবধি পরিস্থিতি তাই। বিশাখাপত্তনম টেস্টের দ্বিতীয় দিন ম্যাচের রাশ ভারতের হাতেই। এর দুই কারণ। যস এবং যশ! বোঝা গেল না? যশস্বী জয়সওয়াল এবং নিঃসন্দেহে জসপ্রীত বুমরা। টেস্ট জয়ের জন্য যেমন বড় রান প্রয়োজন, তার চেয়েও বেশি জরুরি বিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়া। ভারতীয় টিমকে কেন এত আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে? এর কারণও দুই ক্রিকেটার। বাকিরা তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করলে এই ম্যাচে জয়টাই ভারতের প্রথম এবং একমাত্র বিকল্প।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর সব ফরম্যাটেই নজর কাড়ছেন যশস্বী জয়সওয়াল। হায়দরাবাদ টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁর ৭৪ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ভারত দুর্দান্ত জায়গাতেই ছিল। যদিও সেই অ্যাডভান্টেজ টিম হিসেবে কাজে লাগানো যায়নি। বিশাখাপত্তনমে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে যশস্বীর ডাবল সেঞ্চুরি! তাঁর ২০৯ রানের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ভারত করে ৩৯৬ রান। ইনিংসে আর কোনও উল্লেখযোগ্য রান নেই! এটাই সত্যি।

ইংল্যান্ড ব্যাটাররা প্রথম ম্যাচে নজর কেড়েছেন। বিশেষ করে বলতে হয় ওলি পোপের কথা। ভাইজ্যাগেও একেক সময় মনে হয়েছে, দিনটা ইংল্যান্ড ব্যাটারদের। তখনই বিস্ময় দেখিয়েছেন বুমরা। ইংল্যান্ডকে ২৫৩ রানেই গুটিয়ে দেয় ভারত। প্রত্যাবর্তন টেস্টে ৩ উইকেট চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবের দখলে। কিন্তু ম্যাচের রাশ ভারতের হাতে এল আর এক যস অর্থাৎ জসপ্রীত বুমরার সৌজন্যেই।

বুমরার এক একটা বিউটি ডেলিভারি। টেস্ট ক্রিকেটে ১১ হাজারের ওপর রান করা জো রুটের উইকেট! চা বিরতির আগে রিভার্স সুইং করাচ্ছিলেন বুমরা। আউট সুইংয়ে বিব্রত করেন। রুট প্রত্যাশা করছিলেন হায়দরাবাদ টেস্টের মতোই হঠাৎ একটা ডেলিভারি ভিতরে ঢুকবে। লেগ বিফোর থেকে বাঁচার রাস্তা খুঁজছিলেন। কিন্তু বুমরার একটা আউট সুইং রুটের আউট সাইড এজ নিয়ে শুভমনের হাতে। ওলি পোপকে গতির হেরফেরে বিরক্ত করছিলেন। হঠাৎই দ্রুত গতির ইয়র্কার। পোপ কেন, বিশ্বের কোনও ব্যাটারের পক্ষেই সেই ডেলিভারি আটকানোর ক্ষমতা ছিল না। উইকেট ছিটকে দেন বুমরা। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসকেও ক্লিন বোল্ড।

দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ২৮ রান তুলেছে ভারত। সব মিলিয়ে ১৭১ রানের লিড। যশস্বীর মতো ভারতের টপ অর্ডার ভরসা দিতে পারলে এখান থেকে লিড অন্তত ৩৫০ পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব। বিশাখাপত্তনমে চতুর্থ ইনিংসে এই রান যথেষ্ঠ। অন্তত জসপ্রীত বুমরা, কুলদীপরা থাকায় এই ভরসা করাই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =