ব্যারাকপুর: কথায় আছে, ভোট বড় বালাই। ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি শোনা যায়। ঠিক তেমনই ভোটের প্রাক্কালে শোনা যাচ্ছে কাউগাছি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৪ নম্বর পার্টের গড় শ্যামনগরে গড়ে উঠবে ইএসআই হাসপাতাল। শ্যামনগর ফিডার রোডের ধারে গড় শ্যামনগর দোল মাঠে তৈরি হবে ১০০ বেডের এই শ্রমজীবী হাসপাতাল। কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগের সহায়তায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হাসপাতাল তৈরির ব্যাপারে গত এপ্রিল মাসে ফলক লাগানো হয়েছে। সেই ফলকে উল্লেখ, চলতি বছরের আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। যদিও এখন ঝিলের ধার দিয়ে পাঁচিল তৈরির কাজ চলছে। অন্যদিকে ফিডার রোডের ধারে গড় শ্যামনগর ভাদুরী বস্তির পাশে ফাঁকা মাঠে প্রস্তাবিত হাসপাতালের জমিতে রাজ্যের শ্রম দপ্তরের তরফে বহুদিন আগেই একটা ফলক লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেই ফলকে মরচে পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ভোট আসলেই নেতাদের হাসপাতাল তৈরির কথা মনে পড়ে। আর ভোট মিটলেই শুকনো আশ্বাস ধুলোয় মিশে যায়। যদিও হাসপাতাল তৈরির এই উদ্যোগকে ভোটের চমক বলছেন বিরোধীরা। বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সম্পাদক পল্লব কান্তি দাস বলেন, প্রস্তাবিত হাসপাতালের জমিতে বামআমল থেকেই দুশো পরিবার বসবাস করছেন। ওখানে নাকি হাসপাতালের কোয়ার্টার গড়ে তোলা হবে। তাহলে বস্তিবাসীরা কোথায় যাবেন। তাদের জন্য পুনর্বাসন নিয়ে রাজ্য সরকার কি কোনও চিন্তা-ভাবনা করেছে প্রশ্ন বিজেপি নেতার। পল্লব বাবুর কথায়, ঘাসফুল জমানায় শাসকদলের নেতাদের উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দারা যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই থেকে গেছেন। শ্রমজীবী হাসপাতাল নিয়ে কাউগাছি-১ তৃণমূল যুব সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের দাবি, বামেরা শুধু হাসপাতাল গড়ার প্রতিশ্রুতি দিত। কিন্তু তৃণমূল সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দেয় না। কাজও করে দেখায়। এখন পাঁচিল দিয়ে হাসপাতালের জমি ঘেরার কাজ চলছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই হাসপাতাল গড়ার কাজ শুরু হবে। সঞ্জয় বাবুর কথায়, গড় শ্যামনগর দোল মাঠে হাসপাতাল তৈরি হবে। উল্টোদিকে বস্তির পাশে ফাঁকা জমিতে নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার ও কোয়ার্টার গড়ে উঠবে।