একদিকে বিকাশভবনের ডাক, অন্যদিকে বারণ রাজভবনের। এমনই সাঁড়াশি চাপে বিপাকে রাজ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারেরা। এই চাপ নিতে না পেরে পদত্যাগ করলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নূপুর দাস। এই ঘটনায় তোলপাড় শিক্ষামহল।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসাবে নূপুর দাসের যাওয়ার কথা ছিল বিকাশভবনে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একটা নোটিস দেন। বলা হয় রাজভবন থেকে বিকাশভবনের মিটিংয়ে যেতে তাঁকে নিষেধ করা হয়েছে। এ ঘটনার কিছু সময় পরেই উপাচার্যের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন নূপুর দেবী। সূত্রের খবর, তাতে তিনি লেখেন, আগামী ২০ তারিখ আমার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই ইস্তফা দিচ্ছি। যদিও তাঁর ইস্তফাপত্র এখনও গৃহীত হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সমিতির নেতা তথা প্রাক্তন রেজিস্ট্রার তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মচারী উপচার্যের নির্দেশ মানতে বাধ্য। কারণ আমাদের যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় সেখানেও এটাই লেখা থাকে। তাই উপচার্য যা বলছেন সেটাই তো আমরা করব। ওনাদের মধ্যে বিরোধ থাকলে তা একসঙ্গে বসে আগে রাজ্য-রাজ্যপাল মেটাক। আমরা উপাচার্যের নির্দেশই মানব। এভাবে বিকাশভবন ডাকতে পারে না। আর এই সংঘাতের ফলে আখেড়ে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদেরই।’
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাবলে সমস্ত রাজ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য রাজ্যপাল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আর বিকাশভবনের ডাকের মাঝে রেজিস্ট্রারদের মনে কাজ করছে দুরকমের ভয়। কেউ ভাবছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে না গেলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে পারে বিকাশভবন। আবার যোগ দিলে রাজ্যপালের নির্দেশ আমান্য করা হবে। সেক্ষেত্রে রাজভবনের চক্ষূশূল হতে পারেন তাঁরা। তাহলে কী রাজ্য-রাজভনের জাঁতাকলে পড়েই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত, প্রশ্ন সব মহলেই।