কলকাতা লিগে অনবদ্য ছন্দে ইস্টবেঙ্গল। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্যালকাটা পুলিশকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। গ্রুপ বি-র সেরা হয়েই চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করল ইস্টবেঙ্গল। বলা যেতে পারে, খেলার মাঠে পুলিশের মেরুদন্ডও ভেঙে দিল। জেসিন টিকের পেনাল্টি সেভ না হলে স্কোর লাইন আরও বড় হত। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল তিনটি করেন বোথালা সুনীল, তন্ময় দাস ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সুপার সিক্সেও ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশায় ইস্টবেঙ্গল।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে রাজ্য জুড়ে। এর আঁচ পড়েছে খেলার মাঠেও। ডুরান্ড ডার্বিতেও গ্যালারিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পরিকল্পনা ছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের। যদিও শেষ মুহূর্তে ডার্বিই বাতিল করে দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই, এই কারণ দেখিয়ে ডার্বি বাতিল হয়। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকরা এক যোগে প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছিল। ডার্বি বাতিলেও পরিকল্পনা বদলায়নি। মাঠে খেলা বন্ধ থাকলেও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তিন প্রধানের সমর্থকরাই।
আরজি কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। তাদের টিমের বিরুদ্ধে মাঠেই হল প্রতিবাদ। গ্যালারিতে পোস্টার, ‘তিলোত্তমার রক্ত চোখ, আঁধার রাতের মশাল হোক!’ ম্যাচ জিতে যেন মশালের তেজই দেখাল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৯ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন সুনীল। ৩৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল তন্ময়ের সৌজন্যে। ২-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৮৮ মিনিটে তৃতীয় গোলটি সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের।