কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করতে হবে। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই নড়ে বসেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত শুক্রবারই তালিকা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পর্ষদ। আজ, সোমবার ইন্টারভিউ ও ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য সল্টলেক সেক্টর ২-এর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ডাকা হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের।
বলা হয়েছে আনতে হবে, টেটের অ্যাডমিট কার্ড, মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার আসল অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট ও সার্টিফিকেট, উচ্চমাধ্যমিক (১০+২) বা সমতুল পরীক্ষার আসল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট, বিএর আসল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট, ভোটার আইডি কার্ড বা আধার কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ছবি সঙ্গে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি।
২০১৪ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ ও ২০১৯ এ চাকরি পান উত্তীর্ণরা। তবে এরপরেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, সঙ্গে ভুল প্রশ্নের প্রাপ্য নম্বর, দুই ইস্যুতেই নালিশ ঠুকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাকিরা। দায়ের হয় পৃথক ৬টি মামলা। কোর্টের তোপের মুখে পড়ে এসএসসি ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
তৈরি হয় বিশেষজ্ঞ দল। তাঁদের রিপোর্টেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এরপরেই কোর্টের নির্দেশে নম্বর বাড়ে একশো সাতাশি জনের। টেট উত্তীর্ণ হয়ে তাঁরাও চাকরির দাবিদার। ভুল স্বাকীর করেও শূন্যপদ না থাকায় নিয়োগ করা সম্ভব নয় বলে যুক্তি খাড়া করে পর্ষদ। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ধোপে টেকেনি সেই সওয়াল। প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করে তিন দফায় ১৮৭ জনকে নিয়োগ করতেই হবে নির্দেশ দেয় আদালত।২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৩ জনকে চাকরিতে দিতেই হবে। নির্দেশ দেয় আদালত। অতঃপর কিছুটা বাধ্য হয়েই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ শুরু শিক্ষা পর্ষদের।