বেপরোয়া গতিতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দেওয়াল ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ল চার চাকার আস্ত একটি গাড়ি। আর তাতেই ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা ১৩ বছরের এক বালকের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা। ওই গাড়ির চালককে গণপিটুনি দেওয়ার পাশাপাশি গাড়িতে থাকা আরো বেশ কিছু যাত্রীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচতে প্রাণভয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে নিজেদের আত্মগোপন করেন কয়েকজন যাত্রী। কিন্তু আধমরা অবস্থায় ওই গাড়ি চালককে উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার সাদুলাপুর সংলগ্ন সাগরদিঘি এলাকায়। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ইংরেজবাজার থানার আইসি আশিস দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে রক্তাক্ত আধমরা অবস্থায় ওই গাড়ি চালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় মেডিক্যাল কলেজে। তার অবস্থা সংকটজনক বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। এদিকে দুর্ঘটনায় মৃত ওই বালকের দেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বালকের নাম ঈশান মণ্ডল (১৩)। সাগরদিঘি এলাকাতেই বাড়ি তার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে ওই চার চাকার গাড়িটি গাজোলের পান্ডুয়া থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে মোথাবাড়ি ফিরছিল। সাগরদিঘি এলাকার রাজ্য সড়কের ধারের একটি কাঁচা বাড়িতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই চার চাকার গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে। তাতেই ঘরের মধ্যে থাকা ওই বালকটি গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যায়। এরপর উত্তেজিত জনতা সাগরদিঘি এলাকার মালদা মোথাবাড়ি রাজ্য সড়ক রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ইংরেজবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুরো বিষয়টি ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।