নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মিডলম্যান-এজেন্টরাও কি প্রভাবশালী এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠে গেল, নিয়োগ দুর্নীতির এক এজেন্টকে এবার প্রিজন ভ্যান থেকে কোল্ড ড্রিংকসের বোতল হাতে নামতে দেখে। শুক্রবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে একটা আধ-খাওয়া কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতল হাতে প্রিজন ভ্যান থেকে নামতে দেখা যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অন্যতম মিডলম্যান প্রদীপ সিং ওরফে ছোটুকে। উল্লেখ্য, ওই একই প্রিজন ভ্যানে ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও। আর এখানেই প্রশ্ন ওঠে ধৃত ওই নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যানের হাতে কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতল এল কীভাবে তা নিয়েই। প্রশ্ন ওঠে কোথায় অভিযুক্তদের ওপর নজরদারি তা নিয়ে। শুদু তাই নয়, এ প্রশ্নও ওঠে যে এই ঠান্ডা পানীয় খেয়ে অভিযুক্তর কোনও সমস্যা হলে তার দায় কে নেবে তা নিয়েও। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, সংশোধনাগার থেকে যখন অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অভিযুক্তরা প্রিজন ভ্যানে ওঠার পর থেকে সবরকম দায়িত্ব থাকে পুলিশের হাতেই।
কিন্তু এদিন যে দৃশ্য আদালত চত্বরে দেখা যায় তাতে পুলিশের সামনেই ঠান্ডা পানীয় হাতে নিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকে নামছেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত ওই মিডলম্যান। পুলিশের ভূমিকা সেখানে একেবারেই নির্বাক দর্শকের মতোই। ওই অভিযুক্তকে বাধা দেওয়া তো দূরে থাক, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল সেই বিষয়টি। আর এখানেই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, প্রিজন ভ্যানে প্রভাবশালী বিধায়ক থাকার কারণেই কি সব দেখেও কিছুই দেখল না পুলিশ? এ প্রশ্নও একইসঙ্গে ওঠে যে তাহলে কীএজেন্টরাও সব এক এক জন প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, এদিনের এ দৃশ্য কি পুলিশি নজরদারির ঢিলেঢালা ছবিটাকেই আরও স্পষ্ট করে দিল, এমনটাও ধারনা অনেকেরই।