নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁথি: গত ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বর্ষীয়ান রাজনীতিক শিশির অধিকারীকে প্রণাম করেছিলেন কাঁথি পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত পুরপ্রধান সুবল মান্না। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা।
শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীকে প্রণাম করা এবং তাঁকে রাজনৈতিক গুরু বলে সম্বোধন করায় ‘শাস্তি’ দেওয়া হয় সুবল মান্নাকে। প্রথমে শোকজ করা হয়। পরে তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর, দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূল ভবনে মুখোমুখি বৈঠকও করেছেন তিনি। কিন্তু কোনও নির্দেশই নাকি টলাতে পারছে না সুবলকে। পদত্যাগ করা তো দূরের কথা, নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন তিনি। তাই এবার তাঁকে সরাতে নয়া পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পণ্ডা এক জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ শুরু হয় সেই বৈঠক, চলে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত। ডাক পেয়েই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন কাঁথির পুরসভার ১৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রত্যেকেই সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে সম্মত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের আরও খবর, শীর্ষ নেতৃত্বের ইশারা মিললে কয়েকদিনের মধ্যেই পেশ হতে পারে অনাস্থা প্রস্তাব। সুবল মান্নাকে নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন ১৭ জন। ১৬ জনই অনাস্থা আনতে রাজি।
তবে সুবল মান্না দাবি করেছেন, পদত্যাগের কোনও চিঠি পাননি তিনি। দলীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতায় ডেকে তাঁকে আবারও পদত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সুবলবাবু তাঁর জায়গায় অনড়। এই পরিস্থিতিতেই অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ভেবেছে দল, এমনটাই দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।