কলকাতা: অধ্যাপকের আচরণে গন্ডগোল। অভিযোগ, শিক্ষকের মৌখিক ও দৈহিক ভাষায় ছিল যৌন ইঙ্গিত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কয়েকজন ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করল বিশ্ববিদ্যালয়।ওই অধ্যাপককে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বারণ করা হয়েছে। কয়েকজন ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি তদন্তের পর অভিযুক্ত অধ্যাপককে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়ার সুপারিশ করেছে। তাঁর কাউন্সেলিং দরকার বলে কমিটি মনে করে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম পরিষদ তদন্ত কমিটির সুপারিশে সায় দেয়। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘ওই অধ্যাপককে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির সুপারিশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে কাউন্সেলিং পর্ব শেষ করার পর সংশাপত্র দাখিল করলে ক্যাম্পাসে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।’ উপাচার্য জানান, এই পর্বে ওই শিক্ষক বেতন পাবেন কি না সে বিষয়ে আইনজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, একটি বিভাগের ছাত্রীরা গত সেপ্টেম্বরে কর্তৃপক্ষের কাছে ওই শিক্ষকের আচরণ নিয়ে অভিযোগ করে। কমিটি তদন্ত করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে অধ্যাপকের আচরণ, বিশেষ করে মৌখিক ও দৈহিক ভাষা ছিল যৌন ইঙ্গিত। তিনি ক্লাসে ভয়ও প্রদর্শন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। কমিটি উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সম্প্রতি তাদের সুপারিশ জমা করে। কমিটি আরও বলেছে, ওই শিক্ষককে ছাত্রীদের গাইড হিসাবে যেন নিয়োগ করা না হয়। স্টাডি ট্যুর থেকেও তাঁকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কয়েকজন ছাত্রী ইতিমধ্যে যাদবপুর থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় ছিল।