ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি মূর্তি উন্মোচন, কর্তব্য পথ-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Basu)। তাঁর আদর্শ মেনে চললে দেশ আরও উন্নত হত। ইন্ডিয়া গেটে (India Gate) স্থাপিত নেতাজির গ্রানাইট মূর্তির আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পরে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই সঙ্গে দাবি করলেন, দেশের মানুষের কাছে নেতাজিকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতার নামোল্লেখ না করলেও মোদি কংগ্রেসকেই আক্রমণ করলেন তা স্পষ্ট।

নেতাজির মূর্তির উদ্বোধন ছাড়াও এদিন রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ের উদ্বোধনও করলেন মোদি। পাশাপাশি ‘রাজপথ’ও নাম বদলে হল ‘কর্তব্য পথ’। তারও উদ্বোধনও হল প্রধানমন্ত্রীর হাতেই। সেই প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘রাজপথ দাসত্বের প্রতীক ছিল। কর্তব্য পথ কেবল মাত্র ইটপাথরের রাস্তা নয়। এটা ভারতের গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতীক। যখনই দেশের মানুষ এখানে আসবেন, নেতাজির মূর্তি ও ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল তাঁদের অনুপ্রাণিত করবে।’

এদিন নেতাজি প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব নেতাজিকে মানত। তিনি ছিলেন দূরদর্শী। ভারতকে আধুনিক করতে চেয়েছিলেন। ছিলেন দেশের পথপ্রদর্শক। স্বাধীনতার পরে যদি নেতাজির আদর্শ মেনে চলত দেশ, তাহলে আমরা এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক এটাই যে, আমাদের মহান নায়ককে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তাঁর মতাদর্শ এমনকী তাঁর সঙ্গে জড়িত প্রতীককেও অবহেলা করা হয়েছে।’

এদিন উদ্বোধনের আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে বার্তালাপ করেন। তাঁদের তিনি আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে সপরিবারে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে শ্রমকে সম্মান জানানোর এক পুরোনো ঐতিহ্য নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ গঠনের একদিকে যদি সংবিধান থাকে, তাহলে অপরদিকে রয়েছেন এই শ্রমিকরা।’ পরিমার্জিত সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ে একটি প্রদর্শনীতেও ভ্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

কর্তব্য পথ সুসজ্জিত লন, হাঁটার জন্য আলাদা পথ, সংযুক্ত সবুজ মাঠ, সংস্কার করা খাল, ভেন্ডিং কিয়স্ক, পথচারীদের জন্য আন্ডারপাস, উন্নত পার্কিং এলাকা, নতুন প্রদর্শনী প্যানেল এবং আপগ্রেড নাইট লাইটিং যুক্ত করা হয়েছে। নবরূপে সজ্জিত কর্তব্য পথে গণ শৌচাগার, পানীয় জল, বসার জায়গার মতো মৌলিক সুবিধার অভাবও পূরণ করা হয়েছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ঝড়-বৃষ্টির জল ব্যবস্থাপনা, জলের পুনর্ব্যবহার, বৃষ্টির জল সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ এবং শক্তি-সাশ্রয়ী আলোর ব্যবস্থার মতো বেশ কয়েকটি টেকসই বৈশিষ্ট্যও যোগ করা হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − seven =