বারাণসীতে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী

উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বারাণসীর সিগরা থেকে রিমোটের বোতাম টিপে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই সমস্ত প্রকল্প বারাণসীর পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, বারাণসীতে সূচনা হওয়া প্রকল্পগুলি শহরের উন্নয়নের যাত্রাকে গতি দেবে, ‘সহজ জীবন যাত্রায়’ আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে… এই শহরে, একটি কাজ শেষ হয় এবং আরেকটি শুরু হয়। বৃহস্পতিবারও অনেক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, বিগত ৮ বছর ধরে ঐশ্বরিক ও মহান কাশীতে যে উন্নয়নের উৎসব চলছে, আমরা ফের তাতে গতি প্রদান করলাম।…কাশীর সচেতন নাগরিকরা যেভাবে দেশকে দিকনির্দেশনা দেওয়ার কাজ করেছেন তা দেখে আমি খুশি। মোদির কথায়, ৮ বছরে কাশীর পরিকাঠামো কোথা থেকে কোথায় পৌঁছেছে। কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী সবাই লাভবান হচ্ছেন। ব্যবসা বাড়ছে, পর্যটন বিস্তৃত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বারাণসীতে ছোট শিশুদের সঙ্গে বাবা-মায়ের ভূমিকায় দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। অর্ডলি বাজারে অবস্থিত অক্ষয় পত্রের মেগা রান্নাঘরের উদ্বোধনের পরে প্রধানমন্ত্রী অত্যাধুনিক অক্ষয় পত্র রান্নাঘর ঘুরে দেখেন এবং এর কাজের পদ্ধতিও জানেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী অভিভাবক হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০ জন শিশুর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শিশুদের প্রতি স্নেহ বর্ষণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তাদের কথাও গুরুত্ব সহকারে শোনেন। প্রধানমন্ত্রী শিশুদের কাছ থেকে কবিতাও শোনেন। শিশুরা প্রধানমন্ত্রীকে শিব তান্ডব এবং মহিষাসুর মর্দিনী স্তোত্রও পাঠ করে শোনায়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অক্ষয় পাত্রের সভাপতি মধু পণ্ডিত দাস, জাতীয় সভাপতি ভারত দাস। অর্ডলি বাজারের এলটি কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ভিত্তি ভবনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান অক্ষয় পাত্রের চেয়ারম্যান মধু পন্ডিত দাস এবং সহ-সভাপতি চঞ্চলপতি দাস।

১৩.৯১ কোটি টাকায় তিন একর জমিতে তৈরি এই অক্ষয়পত্র রান্নাঘরের এক লাখ শিশুকে খাবার দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ২৭ হাজার শিশুকে মধ্যাহ্নভোজ সরবরাহ করা হবে। আগস্টে এর ক্ষমতা ১ লাখ ২৫ হাজারে উন্নীত করা হবে এবং আগামী ৬ মাসের মধ্যে এখানে ২ লাখ শিশুর জন্য মিড-ডে মিল তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + five =