মণিপুরের হিংসার দায় বিরোধীদের উপর চাপালেন প্রধানমন্ত্রী

সংসদে ভাষণের সময় মণিপুরের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন মিতব্যয়ী, তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। অভিযোগ করেন মণিপুরবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। সেই মণিপুর হিংসা নিয়ে এ বার সংসদের বাইরে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী।  মোদি দাবি করেন, অনেক আগেই মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি কেউ। কারণ  তাঁরা চান বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে। মণিপুর হিংসা এত বড় হয়ে ওঠার নেপথ্যে বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার  ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ পরিষদ-এর পূর্বাঞ্চলীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানে মণিপুর ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওঁরা সংসদ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, এঁরা মণিপুরবাসীর সঙ্গে এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা করলেন।’ তিনি এও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাকে চিঠি লিখে মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এত সংবেদনশীল ঘটনা নিয়ে সমস্ত দলমত নির্বিশেষে আলোচনা হলে অনেক আগেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। তা হলে মণিপুরের মানুষের ক্ষততেও মলম লাগত। কিন্তু ওঁরা আলোচনা চায় না। পরিবর্তে মণিপুর ইস্যু নিয়ে রাজনীতি শুরু করলেন। অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন। এখন একের পর এক দোষ দিচ্ছেন। মাথামুণ্ডহীন অভিযোগ করছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 1 =