নিজস্ব প্রতিবেদন, পুরুলিয়া: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পুষ্টিকর খাবার মিড ডে মিলে দেওয়া হয় ডিম। কিন্তু সরকারের বরাদ্দ অর্থের থেকে ডিমের দাম বেশি হওয়ার কারণে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ব্যাপক অসুবিধায় পড়েছেন বলে দাবি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে পুরুলিয়া জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রায় ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছ’ দিনের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। তিনদিন খিচুড়ি ও ডিম দেওয়া হয়। বাকি তিনদিন ভাত, আলু, সব্জি ও ডিম সেদ্ধ দেওয়া হয়। গর্ভবতী মহিলাদের ছ’ দিনই গোটা ডিম দিতে হয়। শিশুদের তিনদিন অর্ধেক এবং তিনদিন গোটা ডিম দেওয়া হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অভিযোগ, বর্তমান বাজার দরের তুলনায় সরকারের বরাদ্দ অত্যন্ত কম। তাঁদের একটি ডিমের জন্য ৬ টাকা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, শিশুদের সব্জির জন্য ১১ পয়সা দেওয়া হয়। রাজ্যের কোন বাজারে ১১ পয়সায় পুষ্টিকর সব্জি মিলবে তাঁদের জানা নেই। তাছাড়া জ্বালানি বাবদ যে টাকা দেওয়া হয় তাও অত্যন্ত কম। এমনকি, তিন মাসের বিল জমা দিলে এক মাসের টাকা পাওয়া যায়। যার ফলে দোকানিরা তাঁদের ধারে জিনিস দিতে চান না।
এই অবস্থায় সরকারের বরাদ্দ ওই ন্যূনতম টাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বলছেন, সেন্টারে একদিন ডিম না দেওয়া হলেই তাদের হতে হচ্ছে হেনস্থার শিকার। অথচ বরাদ্দের থেকে বেশি টাকায় ডিম কিনে কী ভাবে দেওয়া সম্ভব। আরও দাবি, যদি কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সিডিপিওকে জানান তখন তাঁদের উত্তর ম্যানেজ করে চালান। কর্মীদের দাবি, বিষয়টি সরকার দ্রুত বিবেচনা করে বরাদ্দ বেশি করুক, নচেৎ বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে এবার তাঁরা।