দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিলেন সস্ত্রীক মরিশাসের রাষ্ট্রপতি, ঘুরলেন বেলুড়মঠ

ব্যারাকপুর : স্ত্রীকে নিয়ে তিন দিনের ব্যক্তিগত কলকাতা সফরে এসেছেন মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পৃথ্বীরাজ সিং রূপন। সফরের মাঝে সোমবার দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণী মন্দিরে সস্ত্রীক পুজো দিলেন মরিশাসের রাষ্ট্রপতি। এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন মন্দিরের অছি কুশল চৌধুরী। মা ভবতারিণীর পুজো দেওয়ার পর সস্ত্রীক মরিশাসের রাষ্ট্রপতি শিব মন্দির দর্শন করেন। এছাড়াও তাঁরা গঙ্গার ঘাটে যান এবং রামকৃষ্ণদেবের ঘরও ঘুরে দেখেন। দর্শন করেন রাধা কৃষ্ণ মন্দিরও। প্রায় ৪৫ মিনিট দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে কাটিয়ে বেলুড় মঠে যান সস্ত্রীক মরিশাসের রাষ্ট্রপতি। সেখানে পৌঁছলে তাঁকে ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানান মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। এদিন তিনি কলকাতায় একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার কাঁধে নেন পৃথ্বীরাজ। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে মরিশাসের রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নীরবতাই হচ্ছে ঈশ্বর সাধনার উপজীব্য।’

দক্ষিণেশ্বরের পাশাপাশি এদিন বেলুড়মঠেও যান তিনি। বেলুড়মঠে মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পৌঁছলে তাঁকে ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানান মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। এরপর মঠে শ্রীরামকৃষ্ণের প্রধান মন্দির সহ, স্বামীজির বাসভবন, মা সারদার মন্দির ঘুরে দেখেন। দশটা পঞ্চাশ মিনিটে তিনি মঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। কলকাতায় একটি নাগরিক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন মরিশাসের রাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য মরিশাসের রাষ্ট্রপতি মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধান সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। এই দেশে রয়েছে সংসদীয় প্রজাতন্ত্র। সে দেশে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা আনুষ্ঠানিক হলেও মরিশাসের সপ্তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে পৃথ্বীরাজ দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর। পৃথ্বীরাজ সিং রূপন একজন আইনজীবী। যিনি ২০০০ সালে প্রথম জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিনি শিল্প ও সংস্কৃতি, সামাজিক সংহতি এবং আঞ্চলিক প্রশাসনের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৮ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে মরিশাস আফ্রিকার অন্যতম স্থিতিশীল গণতন্ত্রে পরিণত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =