চিনে ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান,মর্মাহত প্রেসিডেন্ট শি জিনিপং

চিনে ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল (Plane Crash) বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবাহী বিমান । ভারতীয় সময় সোমবার দুপুরে দুর্ঘটনার খবরটি জানা যায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় উদ্ধারকারীদের একটি দল পাঠানো হয়েছে।

চিনের সরকারি টিভি চ্যানেল সিসিটিভি খবরটি সম্প্রচার করে। তারা জানায়, গুয়াংজি প্রদেশে একটি বোয়িং বিমান ভেঙে পড়েছে। পাহাড়ের মধ্যে জঙ্গেলে ঘেরা ওই এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ার পর সেখানে আগুন লেগে যায়। বিমানে যাত্রী ছিলেন ১৩৩জন। দুর্ঘটনাটি ঘটে ভারতীয় সময় দুপুর একটার কিছু পরে। জানা গিয়েছে, বিমানটির গন্তব্য ছিল কানমিং থেকে গুয়াংঝাউ। স্থানীয় সময় দুপুর একটা নাগাদ বিমানটি কানমিং থেকে গুয়াংঝাউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সরকারি প্রচারমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, নির্দিষ্ট সময়ে বিমানটি গন্তব্যে না পৌঁছলে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। তাতেই জানা যায়, বিমানটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছে। মাঝ আকাশে বিমানটি একটি পাহাড়কে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর পরেই ঘটনাস্থলে উদ্দেশ্য রওনা দেয় উদ্ধারকারী দল। গিয়েছে দমকলবাহিনী। বিমানে কোনও যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মর্মাহত চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (China President)। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। কীভাবে আচমকা ভেঙে পড়ল সুরক্ষিত বোয়িং ৭৩৭ বিমান, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর।

এদিকে এদিনের দুর্ঘটনাগ্রস্তদের প্রতি চায়না ইস্টার্ন বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট সাদা-কালো করে দেওয়া হয়েছে। বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংকে ঘিরেও উঠছিল প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে বোয়িং সংস্থা জানিয়েছে, এক্ষেত্রে নতুন জেনারেশন বোয়িং ম্যাক্স জেট ব্যবহার করা হয়নি। কারণ, মালয়েশিয়া, ইথিওপিয়ায় একাধিকবার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল বোয়িং ম্যাক্স জেট। এবার তাই ২০১৯ সালে নয়া জেনারেশনে এই বোয়িংগুলি ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 6 =