টেট পরীক্ষার্থীর কাছে ‘পর্ষদ’-এর ফোন! সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

কলকাতা: ঘটনা অন্তত ৫ বছরের পুরনো। পর্ষদ-এর নাম করে ফোন এসেছিল ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর এক টেট পরীক্ষার্থীর কাছে। বলা হয়েছিল, চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে আসতে হবে। সেদিনের সেই ঘটনার অভিযোগ উঠল বুধবার হাই কোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এবার গুরুতর অভিযোগ করলেন এক টেট পরীক্ষার্থী।

শিল্পা চক্রবর্তী নামে এক টেট পরীক্ষার্থী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দাবি করেন, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, ‘‘পর্ষদের অফিস থেকে বলছি। আপনি কি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন? চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে আসতে হবে। দেখাও করতে হবে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে।’’ কোন পর্ষদের অফিসে যাওয়ার কথা বলছেন তা অবশ্য যিনি ফোন করেছিলেন তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। তবে মনে করা হচ্ছে যেহেতু শিল্পা টেট পরীক্ষার্থী ছিলেন তাই হয়তো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কথাই বলবেন। এরপরই কলকাতা হাই কোর্টের স্ক্যানারে ‘পর্ষদে’র ফোন নম্বর। ফোন নম্বরটি কার, কোথা থেকে এসেছিল ফোন – তা খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসে অভিযোগ শুনেই মামলাটির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘সিবিআইকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। কবে, কোথা থেকে, কে ওই ফোন করেছিলেন তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খতিয়ে দেখতে হবে।’ ফোনের কল রেকর্ডিংও সিবিআইকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

অন্য দিকে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন আরও ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্ট। এর আগে ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল এবং তাঁদের বেতন বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন। অর্থাৎ মোট ১৯৩ জনের চাকরি বাতিল করা হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − 4 =