কাগজে মুড়ে যিনি টাকা নিয়েছেন তার তদন্ত আগে হোক, দাবি জীবনকৃষ্ণের

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জেলবন্দি বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। জামিন পাওয়ার জন্য বারবার আবেদন করলেও যে সব তথ্যপ্রমাণ সামনে এসেছে তার ভিত্তিতে জামিনে ‘না’-ই জানিয়েছে আদালত। এরপর শুক্রবার আদালতে যাওয়ার পথে সেই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে দেখা যায় নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করতে। একইসঙ্গে বিদ্ধ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। প্রিজন ভ্যান থেকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যর্থতা আছে, তারা প্রমাণ করতে পারছে না। এর আগে আপনারা তো দেখেছেন খবরের কাগজে মুড়ে টাকা নেওয়ার ছবি। তাকেই তো ধরতে পারছে না। সেটা আগে তদন্ত করতে বলুন।’ জীবনকৃষ্ণর এই বক্তব্য শোনার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন করা হয়, কাকে ইঙ্গিত করে একথা বলছেন বিধায়ক তা নিয়েই। জবাবে জীবনকৃষ্ণ সাহা জানান, ‘কার কথা বলছি আপনারা ভালই জানেন।’ এরপর তাঁদের আরও সংযোজন, ‘যার ফোন সিবিআই দপ্তরে আসে বারেবারে। দেখুন আপনারা। তদন্ত করুন। পেয়ে যাবেন।’

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া এজেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সন্দেহে গত এপ্রিল মাসে বড়ঞার বিধায়ককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। গ্রেফতারির আগে প্রায় ৭২ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলে। ঠিক সেই সময়েই দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতে বিধায়ক নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে ধরা পড়ে জেলযাত্রা হয় তাঁর। এর আগে একাধিকবার আদালতে পেশের সময় জীবনকৃষ্ণকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। তবে প্রতিবারই দলের প্রতি আনুগত্যও প্রকাশ করতে দেখা যায় বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়ককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 4 =