কলকাতা মান-অভিমানের পালা মিটেছে আগেই। ফের ভাই ফোঁটায় ‘কানন’-কে সস্নেহে কাছে টেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দিদি। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভাইফোঁটা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন চর্চা, তবে কি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ঘর ওয়াপসি’ এখন সময়ের অপেক্ষা!
শুক্রবার বান্ধবী বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটে গিয়ে মমতার হাত থেকে ভাইফোঁটা নিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরে চলে যাওয়া প্রাক্তন মেয়রের তৃণমূল তথা রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন নিয়ে তাই জল্পনা তুঙ্গে। তবে শোভনের স্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের স্পষ্ট দাবি, মমতা ক্ষমা করলেও বেহালা তথা বাংলার মানুষ ক্ষমা করবেন না শোভনকে।
দীর্ঘদিনের রাজনীতিক শোভন ২০১৮ সালে তৃণমূল ছাড়েন। তারপর তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেও গত কয়েক বছরে রাজনীতি থেকে ক্রমশ দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। কার্যত তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই চর্চা হয়েছে বেশি। তাই রত্নার দাবি, রাজনীতিতে এলেও উল্লেখযোগ্য কিছু করে উঠতে পারবেন না তিনি
রত্নার কথায়, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় বরাবরই মমতা ব¨্যােপাধ্যায়েক থেকে ভাইফোঁটা নেন। এটা নতুন কিছু নয়। বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর দিদির সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে এ নিয়ে এত জলঘোলার কোনও প্রয়োজন নেই। শোভনবাবু ৪-৫ বছর রাজনীতিতে নেই। এখন কিছু করতে গেলে নতুন করে শুরু করতে হবে, আমি যেমন করেছি।’
তবে শোভন সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরেলও, তেমন কোনও জায়গা করতে পারবেন না বলে মনে করেন স্ত্রী রত্না। তিনি বলেন, ‘এখন সমীকরণ অনেক বদলে গিয়েছে। রাজনীতিতে একেকটা দিন একেক বছরের মতো। এই কয়েক বছরে শোভনবাবু যা কিছু ঘটিয়েছেন, তাতে বেহালার মানুষ ক্ষমা করবেন কি না জানি না। বাংলার মানুষও ক্ষমা করবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ আছে।’
তবে যদি ফেরেন, পুরনো সতীর্থ হিসেবে ফিরে এলে শোভনকে স্বাগত জানাবেন রত্না। তাঁর কথায়, শোভন দীর্ঘদিনের রাজনীতিক, দক্ষ সংগঠক, ভাল প্রশাসক। পরিবারের সদস্য হয়ে শোভনের উত্থানের জন্য অনেক স্বার্থত্যাগ করতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন রত্না। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, মমতার হাত ধরে কীভাবে মন্ত্রী, মেয়র হয়েছিলেন শোভন। রত্না বলেন, ‘দিদির মন খুব নরম। তিনি বকেন আবার ভালওবাসেন। তাই শোভনের ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।’