মধ্যরাতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে গ্রিন করিডর করে বাঁচানো হল রোগীকে 

গ্রিন করিডর করে এক মুমূর্ষ রোগীকে সুস্থ করল আসানসোল জেলা হাসপাতাল। গুরুতর অসুস্থ হয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর কর্তব্যরত ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। ভর্তি হওয়ার পর ডিউটিতে থাকা ডাক্তার পৃথ্বীরাজ পাত্র বুঝতে পারেন মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে তার শারীরিক অবনতি হয়েছে। ঘটনা বুঝে ওঠার পর তিনি যোগাযোগ করেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ভাস্কর হাজরা ও কঙ্কন রায়ের সঙ্গে। ডাক্তার ও দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের যৌথ প্রচেষ্টায় হাসপাতাল চত্বরে তৈরি করা হয় গ্রিন করিডর। রোগীকে সিটিস্ক্যান করা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিমেষে করিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মূল্যবান ইঞ্জেকশন দিয়ে রোগীকে স্থিতিশীল করেন ডাক্তার পৃথ্বীরাজ। ডাক্তার পৃথ্বীরাজ পাত্র বলেন, রোগীকে যখন আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটজনক ছিল। দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের সঙ্গে কথা বলে গ্রিন করিডোর করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিটি স্ক্যান করা হয় আর তাতেই ধরা পড়ে সঞ্জয়বাবুর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছে। এই জমাট রক্ত সর্বাধিক সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ ইঞ্জেকশন দিয়ে তরল করতে না পারলে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নিজে ঝুঁকি নিয়ে ওই ইঞ্জেকশন দেন তিনি। বর্তমানে ওই রোগী সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 1 =