নিজস্ব প্রতিবেদন, পুরুলিয়া: ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। স্বয়ং তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, নির্দলদের দলে নেবে না তৃণমূল। কিন্তু পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের চাকলতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিলেন। গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সেই জয়ী নির্দল প্রার্থীরই শরণাপন্ন হল শাসকদল, এমনটাই দাবি বিরোধীদের। নির্দল প্রার্থী সুভাষ রজককে যোগদান করানো হল তৃণমূলে। আর এতেই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৫-এ নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৭, বিজেপি ৭, ১ আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী। ফলে ত্রিশঙ্কু হয় চাকলতোড় গ্রাম পঞ্চায়েত। সুভাষবাবু তৃণমূলে আসতেই ম্যাজিক ফিগার চলে এল শাসকদলের দখলে। বৃহস্পতিবার সেই জয়ী নির্দল প্রার্থী সুভাষ রজক জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে এসে তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া।
উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো সহ অন্যান্য দলীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেই নিজেকে পুরাতন তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন সদ্য দলে আসা নির্দল প্রার্থী সুভাষ রজক। তা হলে কি উপরমহলের কড়া নির্দেশকে মান্যতা দিচ্ছে না জেলা তৃণমূল? নাকি পঞ্চায়েত দখল করতে ভাত খেয়ে জাত বদলাচ্ছেন জেলার নেতারা? উঠছে প্রশ্ন।