সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক রদবদলের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলার শাসকদল। তাতে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করা হয়েছে সাংসদ মহুয়াকে। মহুয়াকে নিয়ে বিতর্ক যতই দানা বাঁধুক না কেন, দলের যে তাঁর প্রতিই পূর্ণ আস্থা রয়েছে তা এই একটি সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট। দলের সিদ্ধান্ত জানার পর মহুয়া এক্স হ্যান্ডলে দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, তখন মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি কোনও বিবৃতি দেয়নি তৃণমূল। বরং মহুয়ার বিষয়টিকে তাঁর ‘নিজস্ব’ লড়াই হিসাবেই উল্লেখ করা হয়েছিল দলের তরফে। বিরোধীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন, মহুয়ার পাশে কেন দল দাঁড়াচ্ছে না? কিন্তু মুখে কিছু না বললেও মহুয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েই পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল তৃণমূল। যা সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছে তৃণমূলের অন্দরের একটি অংশ।
তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন বিধায়ক কল্লোল খাঁ। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। দলের কাজেও নিষ্ক্রিয় ছিলেন অনেক দিন ধরেই। কল্লোল নিজের ঘনিষ্ঠমহলে জেলা সভাপতি পদ ছাড়ার ব্যাপারেও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বলে খবর। সে দিক থেকে কৃষ্ণনগরে সভাপতি বদল এক প্রকার অবশ্যম্ভাবীই ছিল। দেখা গেল সেই পদে আনা হল মহুয়াকে।
প্রসঙ্গত, মহুয়া বরাবরই বলে এসেছেন, মমতা এবং অভিষেক তাঁর পাশেই রয়েছেন। সম্প্রতি মহুয়া-প্রশ্নে মুখ খুলেছিলেন অভিষেক। মহুয়াকে শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া যে ভাবে দ্রুত এগিয়েছে, তার সমালোচনা করে অভিষেক বলেছিলেন, ‘উনি নিজেই নিজের লড়াই লড়ে নিতে পারবেন।’