নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: বারবার অভিযোগ উঠে আসছিল কৃষক সেতুর বেহাল দশা নিয়ে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে কৃষক সেতুর অনেকাংশই দীর্ঘদিন ধরে ভগ্ন অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি। এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে বুধবার তাই হঠাৎই পরিদর্শনে আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহ-সভাধিপতি গার্গী নাহা, পূর্ব বর্ধমান জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার, ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব এবং জেলা পরিষদের প্রশাসনিক আধিকারিকগণ।
এই কৃষক সেতু পূর্ব বর্ধমান জেলার সঙ্গে হুগলি জেলাকে সংযুক্ত করেছে। দক্ষিণ দামোদরের মানুষজন এই সেতুর মাধ্যমেই পূর্ব বর্ধমান শহরে আসেন বিভিন্ন কাজের সূত্রে। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার বলেন, ‘কৃষক সেতুর অবস্থা খুবই খারাপ। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আপাতত মেরামতির কাজ আশা করি বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে। যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিকল্প সেতুর চিন্তাভাবনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন কৃষক সেতুর মেরামতির কাজ শুরু হবে, তখন যানবাহন চলাচল রাতের বেলায় এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা অভিযোগ অনেকবার উঠে আসে কৃষক সেতুর মধ্য দিয়ে ওভারলোডিং গাড়ি যায়। এটি সম্পূর্ণ পরিবহণ দপ্তর এবং পুলিশ প্রশাসনের বিষয়। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। খুব শীঘ্রই আমরা এই বিষয়ে একটি বৈঠক করতে চলেছি। বর্ধমান আরামবাগের মধ্যে যে সমস্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা, সেগুলো খুব শীঘ্রই মেরামতির কাজ শুরু হবে।’