কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিপুল ভোটে পরাজিত থারুর

আড়াই দশক পর গান্ধি পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হলেন কংগ্রেসের। বিপুল ব্যবধানে জিতে সভাপতির পদে বসলেন ‘সোনিয়া-অনুগত’ মল্লিকার্জুন খাড়গেই। ভোটের ব্যবধানে খাড়গের থেকে অনেকটাই পিছনে রয়েছেন আর এক পদপ্রার্থী শশী থারুর।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, সভাপতি নির্বাচনে ‘হাই কম্যান্ডের প্রার্থী’ হিসাবে পরিচিত খাড়গে পেয়েছেন ৭৮৯৭টি ভোট।  প্রতিপক্ষ শশী থারুর পেয়েছেন  ১০৭২টি ভোট। অর্থাৎ ৬ হাজার ৮২৫ ভোটের ব্যবধানে জিতলেন খাড়গে। শেষবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সোনিয়া গান্ধির বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদ (Jitendra Prasad)। সোনিয়ার বিরুদ্ধে জিতেন্দ্রর প্রাপ্ত ভোট তিন সংখ্যাতেও পৌঁছায়নি। সে তুলনায় খাড়গের বিরুদ্ধে কিছুটা সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছলেন থারুর।

মঙ্গলবার ভোট গণনার পর দেখা যায় কংগ্রেস সভাপতি শশীকে বিপুল ব্যবধানে পিছনে ফেলে দিয়েছেন মল্লিকার্জুন। ভোট পড়েছিল ৯৩৮৫টি, তার মধ্যে মল্লিকার্জুন পেয়েছেন ৭৮৯৭ ভোট। শশীর ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১০৭২টি ভোট। তার ফলে কংগ্রেস সভাপতি পদে আসীন হলেন মল্লিকার্জুনই। বাতিল হয়েছে ৪১৬টি ভোট। কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি (সিইএ) তথ্য বলছে, দেশে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছিল ৩৬টি। বুথের সংখ্যা ৬৭। প্রতি ২০০ ভোটার পিছু একটি করে বুথ নির্ধারিত করা হয়।

আসলে থারুর নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিলেন। কারণ খাড়গের নামের পাশে বসে গিয়েছিল ‘গান্ধি পরিবারের প্রার্থী’র তকমা। সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) অবশ্য শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাঁরা নিরপেক্ষ থাকবেন। সেই মতো প্রকাশ্যে গান্ধি পরিবারের সদস্যরা কোনও প্রার্থীর সমর্থনে মুখও খোলেননি। কিন্তু ফলপ্রকাশের দিন ফলাফল ঘোষণার আগেই রাহুল একপ্রকার বলে দেন, খাড়গেই সভাপতি নির্বাচিত হতে চলেছেন। যদিও পরক্ষণে সামলে নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন,’খাড়গেজি এবং থারুরজি দু’জনেই অভিজ্ঞ, আমি সামান্য কর্মী। তাঁদের কথামতোই কাজ করব।’ রাহুল যতই ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করুন, তাঁর এই মন্তব্য শেষ মুহূর্তে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গান্ধিদের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − 2 =