নাগাল্যান্ডে (Nagaland) জঙ্গি সন্দেহে সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের গুলিতে ১৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে সেই ঘটনায় এবার চার্জশিট পেশ করল নাগাল্যান্ড পুলিশ। তাতে নাম রয়েছে সেনাবাহিনীর স্পেশ্যাল ফোর্সের ৩০ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন সেনা আধিকারিকও। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় যে সিট গঠন করা হয়েছিল তারা ওই চার্জশিট পেশ করেছে আদালতে।
চার্জশিটে সিট অভিযোগ এনেছে, ঘটনার সময় ২১ নম্বর প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের জওয়ানরা ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর’ তথা এসওপি মেনে চলেনি। আর সেই কারণেই ঘটে গিয়েছে ওই হত্যাকাণ্ড। নাগাল্যান্ড সরকার সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে চার্জশিটে নাম থাকা সেনা জওয়ানদের জেরা করার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে রাজ্যের পুলিশের তরফেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে সেনার প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের গুলিতে ঝাঁজরা হন ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসী। মর্মান্তিক ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় গোটা দেশ। সেই সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তাঁদের গাড়িকে থামতে বলেনি সেনা, বরং সরাসরি গুলি ছোঁড়া হয়। আরও অভিযোগ ওঠে, সেদিন রাতে মৃত গ্রামবাসীদের পোশাক পরিবর্তনের চেষ্টা হয়েছিল। ঘটনার পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। জোরাল হয় আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি। ওই ঘটনায় আহত হন ১১ জন। মারা যান এক সেনা জওয়ানও।
নাগাল্যান্ডের বিস্তীর্ণ অংশ ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ারস অ্যাক্ট (আফস্পা)’-এর আওতায়। এই আইন বলে সেনাকে বিভিন্ন অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া আছে। কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া সেনা বা আধাসেনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করা যায় না। এই ঘটনায় নাগাল্যান্ড পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ছাড়া তদন্ত করছে সেনাবাহিনীও।