গাজার যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে রয়েছে আমেরিকা। তাই হোয়াইট হাউসে ইফতারের আমন্ত্রণ নাকচ করলেন মুসলিমরা। তাঁদের দাবি, প্যালেস্টাইনের বহু মানুষ বন্দি হয়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় ইফতারের আমন্ত্রণে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার অবস্থান মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না মুসলিম বিশ্ব। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছে বন্ধু দেশগুলো।
রমজান মাসে বিশেষ ইফতারের আয়োজন করেছিল হোয়াইট হাউস। তবে মঙ্গলবারের সেই ইফতারের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন আমেরিকার মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিরা। মার্কিন সংবাদপত্র সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজা যুদ্ধে যেহেতু ইজরায়েলকে সমর্থন করছেন বাইডেন, সেই জন্যই বাইডেনের সঙ্গে বসে ইফতার করতে রাজি নন আমন্ত্রিতরা। শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায় ইফতারের অনুষ্ঠানটি। শুধুমাত্র কর্মীদের নিয়ে আলাদা করে ইফতার করে হোয়াইট হাউস।
তবে ইফতারে অংশ না নিলেও বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আমেরিকার মুসলিম ব্যক্তিত্বরা। প্যালস্তিনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক থায়ের আহমেদ বলেন, আমরা কি রুটি খেতে খেতে দুর্ভিক্ষ নিয়ে আলোচনা করব? উল্লেখ্য, বাইডেনের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভ্যান। দীর্ঘ সময় ধরে মুসলিম প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন।
প্রসঙ্গত, হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলি সেনার অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রথম থেকেই তেল আভিভের পাশে থেকেছে ওয়াশিংটন। তবে ধীরে ধীরে অবস্থান বদলের পথে হাঁটছে আমেরিকা।
ইজরায়েলকে বারবার ‘সংযত’ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই আবেদন কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। গাজার করুণ পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার উপরে চাপ বাড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোও। ক্ষোভ বাড়ছে আমেরিকার মুসলিমদের মধ্যেও। চলতি বছরের শেষে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ছাপ ফেলবে মুসলিম ভোটব্যাংক।