গ্রামের কাদা মাটি রাস্তায় বাঘের পায়ের ছাপ, আতঙ্ক

গ্রামে বাঘের আতঙ্ক। দেখা মিলেছে নাকি আস্ত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। কাদা মাটি রাস্তায় দেখা গিয়েছে নাকি বাঘের পায়ের ছাপও। আর এ নিয়েই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলাবাড়ি – ফুলবাড়িয়া এলাকায় ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামে। একটি নয়, দুই থেকে তিনটি বাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট গ্রামের একাংশ বাসিন্দাদের। এমনকী তাঁরা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্বচক্ষে বাঘ দেখেছেন। আর এ নিয়েই শুক্রবার সকাল থেকেই কমলাবাড়ি ফুলবাড়িয়া গ্রামে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাঘের আতঙ্কে ঘুম উবে গিয়েছে গ্রামবাসীদের। ওই গ্রামের কাদামাটি রাস্তার জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপও নাকি দেখা মিলেছে। যা নিয়ে এখন গোটা গ্রাম জুড়ে চর্চার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে। কিন্তু কোথা থেকে এল এই বাঘ। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, এলাকার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। ওই সীমান্ত পেরিয়েই বাঘের দল গ্রামে প্রবেশ করতে পারে বলেই দাবি করছেন তাঁরা। যদিও গ্রামবাসীদের এই কথায় বিশ্বাস করতে চায়নি জেলা বনদপ্তর।
মালদার বিভাগীয় বনাধিকারিক সিদ্ধার্থ বি জানিয়েছেন, বাঘ নয় বন্য কোনও পশুর পায়ের ছাপ হতে পারে। অনেক সময় বন্য বিড়াল বা সেই জাতীয় কোন জন্তুর দেখা পাওয়া যায়। আপাতত সেটাই অনুমান করা হচ্ছে। এখন গ্রামবাসীরা কি দেখেছেন তা বলা সম্ভব নয়, বনদপ্তরের কর্মী, অফিসারদের মাধ্যমে এই বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এলাকার একটি সীমান্তবর্তী পুকুরে পাহারা দেওয়ার কাজ করছিলেন জনৈক গ্রামবাসী মোফাজ্জল শেখ। তিনি নাকি প্রথমে দুই থেকে তিনটি বাঘের দেখা পান। এরপরই কোনওক্রমে পুকুর পরে থাকা একটি ঘরের মধ্যে নিজেকে দরজা বন্ধ করে রেখেই প্রাণে বেঁচেছেন। ওই নৈশ্য প্রহরীর বক্তব্য, প্রথমে আমার কথা কেউ বিশ্বাস করছিল না। কিন্তু বাঘের পায়ের ছাপ দেখে এখন আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিন সকাল হতেই গ্রামের জঙ্গলের রাস্তায় ছোপ ছোপ দাগ, আর সেই দাগকে ঘিরেই গোটা গ্রাম জুড়ে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের মুখে বিষয়টি শুনেছি। কতটা বিশ্বাসযোগ্য বলতে পারব না। বনদপ্তর পুরো বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + seven =