রাত পোহালেই বহু প্রতীক্ষিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস

রাত পোহালেই কলকাতায় বহু প্রতীক্ষিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ছাত্র এবং যুবক তাঁদের নেতা, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন তা শুনতে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য আশা করছেন , রেকর্ড জমায়েত হবে এবার। কারণ, বাংলার প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, শহর এবং ব্লক থেকে ২৮ অগাস্টের সভায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এই প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘সাম্প্রতিককালে এটি আমাদের দেখা সবচেয়ে বড় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে। আবারও প্রমাণিত হবে যে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে, উভয় ক্ষেত্রেই সমান শক্তিশালী। সভার পরে বিরোধীদের রাতগুলো ঘুমহীন হবে।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ছাত্র সম্প্রদায় আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে, তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারপার্সন এবং দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য শুনতে আগ্রহী। শিক্ষার্থীরা আমাদের নেতাদের বক্তব্য শুনতে এবং ‘ইন্ডিয়া’-র জয়লাভের জন্য তাঁদের নির্ধারিত নির্দেশ অনুসরণ করার জন্য মুখিয়ে আছে।’

এরই পাশাপাশি ছাত্র সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির জন্য, ছাত্র সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এও জানান, ‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদ রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রণীত অ্যান্টি-র‍্যাগিং ব্যবস্থার উপর অধিক গুরুত্ব নিয়ে প্রচার চালাবে। আমরা র‌্যাগিং-বিরোধী প্রচারের কথা বলব, যা জনগণকে তাদের জাতি, ধর্ম, এবং রাজনৈতিক প্রবণতার বাইরে গিয়ে, নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য আহ্বান জানাবে। শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আমরা এই ইস্যুতে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক প্রচার করেছি। আমি ক্যাম্পাস থেকে র‌্যাগিং নির্মূল করার স্বার্থে, এই সংকল্পে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুরোধ করছি।’

এর পাশাপাশি তৃণাঙ্কুর এও জানান, ‘ ২৮ অগাস্টের অঙ্গীকারগুলির মধ্যেও এটাও থাকবে যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, কোনও বাবা-মাকে যেন আর তাঁদের সন্তানকে না হারাতে হয়।’ এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি রাজন্যা হালদার জানান, ‘আমাদের এবারের উদ্দেশ্য মানুষকে একত্রিত করা এবং র‌্যাগিং-মুক্ত ভারত নিশ্চিত করা। আমাদের লক্ষ্য অখণ্ড ‘ইন্ডিয়া’ হিসেবে লড়াই করা।’ এরই পাশাপাশি রাজন্যা এও মনে করয়ে দেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি হেল্পলাইন নম্বর ঘোষণা করেছেন যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি থেকে র‌্যাগিং দূর করতে আমাদের সাহায্য করবে।’

এদিকে পুরুলিয়া তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কীর্তি আচার্য জানান, ২৮ অগাস্টের সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছাত্ররা সর্বদা গণতন্ত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, সাধারণ মানুষের জন্য যে ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি হয়েছে তার হাতকে শক্তিশালী করতে ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে বলেই মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + one =