কলকাতা: মাস খানেক আগে বেলেঘাটায় মায়ের দেহ দু’দিন আগলে বসেছিলেন মেয়ে। এবার একইরকম ঘটনার পুনারাবৃত্তি যাদবপুরের বিজয়গড়ে। এখানে মৃত মেয়ের দেহ আগলে বসেছিলেন মা। ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে খাবার ডেলিভারি বয় প্রতিবেশীদের খবর দেন। তাঁরা পুলিশে খবর দিলে যাদবপুর থানার পুলিশ থেকে এসে দরজা ভাঙে। দেখা যায় বাড়ির মেয়ে মৃত। বৃদ্ধা মা দীপালি বসু বসে রয়েছেন দেহ আগলে।
মৃতের নাম সঞ্চিতা বসু (৩৮)। বিজয়গড় এলাকার একটি ফ্ল্যাটে তিনতলায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। বছর তিনেক আগে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছিল। প্রতিবেশীদের কথায়, মা ও মেয়ে দু’জনই কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের আয়ের কোনও উৎস ছিল না। এক আত্মীয় তাঁদের খাবার পাঠাতেন। সোমবার খাবার দিতে এসে ফুড ডেলিভারি বয় দেখেন ফ্ল্যাটের বাইরে আগের দিনের খাবার পড়ে রয়েছে। আর ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
এরপরই প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা যাদবপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকেন পুলিশ কর্মীরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, ২-৩ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে সঞ্চিতার।
প্রসঙ্গত, বেলেঘাটার বদন রায় লেনে একটি বাড়িতে মাস খানেক আগে মায়ের মৃত্যুর পর দেহ আগলে রেখেছিলেন মেয়ে। মৃত নমিতা ঘোষালের মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলেই পড়শিরা দাবি করেছিলেন। ফলে, মায়ের মৃত্যু ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেননি মেয়ে। শেষে দুর্গন্ধ পেয়ে দেহ উদ্ধার হয়।
কলকাতার বুকে এই ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। বহুদিন আগে রবিনসন স্ট্রিটের পার্থ কাণ্ড নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল। যেখানে দিদি ও বাবার দেহর সঙ্গে বাস করছিলেন পার্থ। যিনি পরে মারা যান। একইরকম ঘটনা কিছুদিন আগে ঘটেছিল হাওড়াতেও।