প্রতিবেশী দম্পতির বিরুদ্ধে নাবালিকা ছাত্রীকে বিহারে পাচার করার অভিযোগ তুলল মা

নবম শ্রেণির এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিহারে পাচার করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রামে। গত এক সপ্তাহ ধরে নাবালিকা মেয়ে নিখোঁজ থাকার ঘটনা বিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর জানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে অপহৃতা ওই ছাত্রীর পরিবার। ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী এই দম্পতি গা-ঢাকা দিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি নাবালিকা পড়ুয়ার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

পুলিশ এবং ওই নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পিপলা গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু পাসোয়ানের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাড়ির পাশে একটি জমিতে শৌচকর্ম করতে নিয়ে যাবে বলে প্রতিবেশী যশোদা ঋষি সঙ্গে যায়। তারপর থেকে আর মেয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এলাকায় খোঁজা খুঁজি করলেও মেয়ের কোন হদিস পায় নি বাড়ির লোকেরা। এমনকি সেই সময় যশোদা আর তার স্বামীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি বলে অভিযোগ ওই নাবালিকার মায়ের। ওই নাবালিকা মায়ের অভিযোগ তার মেয়েকে অপহরণ করে বিহারে পাচার করা হয়েছে। এবং এই পাচারের পেছনে প্রতিবেশী যশোদা ঋষি ও তার স্বামী মথুর ঋষি  জড়িয়ে আছেন।

ওই নাবালিকার মা মঞ্জু পাসোয়ান পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে রাতের বেলায় আমার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে শৌচকর্ম যায় প্রতিবেশী যশোদা ঋষি। তারপর থেকে মেয়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীর যশোদা ও তার স্বামীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারাও এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকাতে আমরা খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের কোন হদিস পাইনি।আমাদের সন্দেহ আমার প্রতিবেশী মহিলা যশোদা ঋষি ও তার স্বামী মথুর ঋষি আমার মেয়েকে অপহরণ করে বিহারে পাচার করেছে। আমি চাই পুলিশ ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিক।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন, ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা গা ঢাকা দিয়েছে তবে ওই নাবালিকার খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনেছি। আমরা স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে বলেছি যাতে এ ব্যাপারে দ্রুত তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + fourteen =