কংগ্রেস দলে যোগ না দেওয়ায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির কান কেটে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার বীরনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিচাপা এলাকায়। এই ঘটনার পর আহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। অবিলম্বে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে কালিয়াচক ১ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। আহত তৃণমূল নেতা হামলাকারী বাক্কার শেখ খালেক শেখ রানা শেখ সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আহতের ডান কানের মাঝামাঝি কাটা পড়েছে। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কানের অংশ জোড়া দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত তৃণমূল নেতার নাম সেলিম শেখ (৪৫)। তার বাড়ি বীরনগর এলাকায়। বীরনগর ১ অঞ্চল কমিটির তৃণমূল দলের সভাপতি পদে রয়েছেন সেলিম শেখ। পুলিশকে অভিযোগে আক্রান্ত বীরনগর ১ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সেলিম শেখ জানিয়েছেন, চলতি বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তাঁকে কংগ্রেসে আসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কংগ্রেস দলের না যাওয়ায় এবং ভোট প্রচার না করায় তখন থেকে তাকে হুমকি দিচ্ছিল ওই দলের স্থানীয় কিছু কর্মীরা। এদিন রাতে বাড়ির বাইরে দলীয় এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন সেলিম শেখ। সেই সময় অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত তার উপর হামলা চালায়। হাঁসুয়ার আঘাতে তার কান কাটা যায়।
জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বাবলা সরকার জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তাই এখন এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করতে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের দলের অঞ্চল সভাপতি ওপর হামলা চালিয়েছে। অভিযুক্তদের নির্দিষ্ট নাম দিয়ে কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিও পুলিশকে জানানো হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ইশা খান চৌধুরী জানিয়েছেন, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এখানে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। নিজেদের মধ্যে গোলমালের ঘটনা জানাজানি হতেই এখন কংগ্রেসের ঘাড়ে মিথ্যা দোষ চাপানো হচ্ছে। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা এলাকা ছাড়া। তাদের খোঁজ শুরু করা হয়েছে।