নিম্নমুখীই ছিল কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ। পুরনো চেহারায় ফিরছিল জনজীবন। মাস্ক ছাডা়ই জনবহুল এলাকায় নিশ্চিন্তে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল সাধারণ মানুষকে। ফের হঠাৎ-ই এই সংক্রমণের গ্রাফ রীতিমতো ঊর্ধ্বমুখী। আর তারই জেরে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এই বৈঠক থেকে তাঁর বার্তা, ‘কোভিড এখনও শেষ হয়নি। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। আমি সমস্ত স্তরে সচেতন থাকার এবং নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছি। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’ একইসঙ্গে মনসুখ মাণ্ডব্য জানান, ‘বিশ্বের বেশ কিছু দেশে নতুন করে কোভিড বাড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে ভারতের পরিস্থিতি বিচার করে দেখতে আজকের বৈঠক।’
তবে এদিনের এই বৈঠকে সমস্ত আধিকারিকদের মাস্ক পরে থাকতে দেখা যায়। ফলে কোভিড সংক্রমণ কমার পর থেকে বৈঠকের ক্ষেত্রে মাস্ক বাধ্যতামূলক নয় এমনটাই নির্দেশ জারি হয়েছিল। তবে এদিনের এই বৈঠকে আধিকারিকদের এভাবে মাস্ক পরে থাকা অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন সমাজের এক বড় অংশের মানুষ। পাশাপাশি এদিন জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরার কথাও ফের বলা হয়। প্রসঙ্গত, কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের সময় মাস্ক নিয়ে কড়়াকড়ি জারি করা হয়েছিল। তবে পরে তা শিথিল করে দেওয়া হয়। নতুন করে জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরার বার্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
একইসঙ্গে এদিনের এই বৈঠক থেকে কোভিড সংক্রমণ রুখতে ভ্যাকসিন যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এমনটাই জানান বিশেষজ্ঞরা। পাশপাশি এদিন ফের বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথাও জানানো হয় এদিনের এই বৈঠক থেকেই। কারণ, এর আগে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রতি অনীহা দেখা যাওয়া বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু, কোনওভাবে যাতে কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত না হয়, সেজন্য সুরক্ষায় সামান্য খামতিও রাখতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, নতুন করে চিনে বাড়ছে কোভিড। সেখানে আগামী তিন মাসে আরও করোনার বাড়বাড়ন্ত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। সেক্ষেত্রে ভারতেও যাতে নতুন করে কোভিডের ঢেউ না আছড়ে পড়ে সেজন্য উদ্যোগী প্রশাসন।
বুধবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিন বৈঠকের পর এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আয়ুষ মন্ত্রক-এর আধিকারিক, ইন্ডিয়ান কাউন্সিস অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব ভাল্লা সহ আরও অনেকেই।