‘প্রজাপতি’ নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ, দিলীপের নন্দন-কটাক্ষের জবাব কুণালের

কলকাতা : মিঠুন চক্রবর্তী ও দেব অভিনীত ‘প্রজাপতি’ নিয়ে বাড়ছে রাজনীতির উত্তাপ। অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত সিনেমা ‘প্রজাপতি’ ঠাঁই পায়নি নন্দনে। গত রবিবারই সেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেতা তৃণমূলের দেব এ নিয়ে সৌজন্যের রাজনীতির পরিচয় দিলেও, তাঁর দলের অন্য নেতারা কিন্তু বাঁকা কথা বলতে ছাড়ছেন না।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বির্তক তৈরি করে অনেক সময় এই সিনেমাগুলিকে প্রচারে আনা হয়। তাঁর বক্তব্য, ‘মিঠুন চক্রবর্তী এতই ফ্লপ অভিনয় করেছেন যে, দেবকে বলতে হচ্ছে। দেব বুঝতে পারেননি মিঠুন দা ডুবিয়ে দেবে। তাই এসব করে প্রচারের আলোয় আনতে হচ্ছে। মিঠুনকে সিনেমায় নেওয়া দেবের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। টনিকে পরান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় মিঠুনকে দশ গোল দেবে।’

‘প্রজাপতি’তে রাজনীতির রঙ লাগলে সোমবার মুখ খুলতে হয় দেবকে। দেব বলেন, ‘অভিনয় করে আমি রাজনীতিতে এসেছি। আমি দেব হয়েছি সিনেমার জন্য়। রাজনীতি করে আমি দেব হইনি। আমার কাছে দুটো জগৎ আলাদা। সৎ ভাবে দুটো জগতেই কাজ করার চেষ্টা করেছি। কেউ বলতে পারবে না যে, আমার রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে আমি কাউকে কাজ থেকে বঞ্চিত করেছি বা ছবিতে নিইনি। আমার কাছে প্রথম থেকে শেষ সিনেমাই, এটাই আমার প্রথম ভালবাসা।’

অন্য দিকে, ‘প্রজাপতি’ নন্দনে মুক্তি না পাওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে ইতি টানতে গত শনিবারই টুইট করেছিলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এবারের মতো নন্দনকে মিস করলাম। কোনও বিষয় নয়। আবার দেখা হবে। গল্পের এখানেই ইতি। গত রবিবার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ অভিযোগ তোলেন, মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপি নেতা হওয়ার জন্যই নন্দনে জায়গা পায়নি তাঁর অভিনীত ছবি ‘প্রজাপতি’। এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ ঘোষ। এরপরেও তাঁর অভিযোগ, গত লোকসভা নির্বাচনে নাকি তৃণমূলের হয়ে লড়তে চাইছিলেন না দেব, তখন তাঁর ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ারও চেষ্টা চলেছিল। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামেন দেব।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − seven =