কলকাতা : কলকাতার ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভে সমবেতর সংখ্যার ঊর্ধসীমা ২০০-২৫০ জন থেকে ১০০ জনে নামিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছিল ২০০-২৫০ জন প্রতিদিন ধর্নায় বসতে পারবে। সেই সংখ্যাটা কমিয়ে সোমবার ১০০ জন করা হল। সোমবার এই অনুমতি দিল বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্য এ দিন আবেদন করে, বড়দিনের ছুটির সময় কলকাতায় ভিড় হয়। সেই আবহে অন্তত ২৪, ২৫ ডিসেম্বর যেন কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখন উৎসবের সময় কেন ডোরিনা ক্রসিঙের মতো জায়গা আটকে ধর্না কর্মসূচি পালন করা হবে? সাধারণ মানুষের কি অধিকার নেই বড়দিন পালন করার? লোকজনের যাতায়াতের সমস্যা হবে কেন? যানজটের সৃষ্টি করে কেন এই সময় ধর্না?’
চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এর উত্তরে বলেন,
২৫ ডিসেম্বর লোকজন ধর্মতলায় আসে না। পার্ক স্ট্রিটে যায়। গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া আছে পুরো মঞ্চটা। কিছু লোক আসছে তারা দেখে চলে যাচ্ছে। বড়দিনের জন্য আলাদা করে এই ধর্না অবস্থান কোনও সমস্যাই তৈরি করছে না। শান্তিপূর্ণ ধর্না অবস্থান করা মৌলিক অধিকার নাগরিকের।’
রাজ্যের তরফে চিকিৎসকদের প্রস্তাব দেওয়া হয় ২৫ ডিসেম্বর তাদের কর্মসূচি বন্ধ রেখে ২৭ ডিসেম্বর করতে। সে ব্যাপারে চিকিৎসকরা সম্মত কিনা সেটাও আদালতকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।তবে, চিকিৎসকদের আইনজীবী জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের কর্মসূচির পরিবর্তন করা যাবে না।