দু-দলের লক্ষ্য ছিল ভিন্ন। প্লে-অফের অঙ্কে টিকে থাকতে হলে দুটি ম্যাচ জিততেই হত টাইটান্সকে। অন্য দিকে, কেকেআরের টার্গেট ছিল পরীক্ষায়। প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। আর এখনও অবধি একমাত্র কেকেআরই প্লে-অফে নিশ্চিত। বাকি তিনটে স্পটের দৌড়ে অনেক দল। আমেদাবাদের বৃষ্টি আতঙ্কে ফেলেছিল দু-দলকেই। রাত ১০.১৫ নাগাদ শুভমন গিল ও শ্রেয়স আইয়ার যে ভাবে আলিঙ্গন করছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল, ম্যাচ বুঝি বাতিল হয়ে গেল। বৃষ্টি কমায় অপেক্ষা ছিল অন্তত পাঁচ ওভারের ম্যাচ হওয়ার। কিন্তু সেই আশাতেও জল ঢেলে দেয় আবহাওয়া।
রাত ১০.৩০ এর পর থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় টসের। দর্শকরাও অপেক্ষায় ছিলেন। যদিও বৃষ্টির তেজ ফের বাড়ায় ১০.৩৮ নাগাদ ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়। দু-দলের লক্ষ্যই অপূর্ণ থেকে গেল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় প্লে-অফের অঙ্ক শেষ গুজরাট টাইটান্সের। তাদের পরবর্তী ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পরীক্ষা করা হল না। কেকেআরের পরবর্তী ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে।
গুজরাট টাইটান্স এ বার ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। তবে গত ম্যাচে ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছিল। বিশেষ করে বলতে হয় ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের পারফরম্যান্স। সিএসকের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। তাঁর ওপেনিং পার্টনার সাই সুদর্শনও সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্লে-অফের অঙ্কে টিকে ছিল গুজরাটও। বাকি দু-ম্যাচে জিততেই হত। এই ম্যাচে পয়েন্ট ভাগ হওয়ায় গুজরাটের হল ১১। বাকি একটি ম্যাচ জিতলেও ১৩-র বেশি হবে না। ১৪ পয়েন্টের দৌড়ে বেশ কিছু দল।