বৃদ্ধা মায়ের হাত ভেঙে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন শিক্ষক ছেলে!

বৃদ্ধ মায়ের হাত ভেঙে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন শিক্ষক ছেলে। জমি লিখে না দেওয়াতে গর্ভধারিনী বৃদ্ধা মাকে মারধোর করে হাত ভেঙে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিক্ষক ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমা মিনাখাঁ থানার চৈতল গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতল গ্রামে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও মিলছে না কোনও সমাধান। এমনই অভিযোগ বছর ৬৮ এর আক্রান্ত মা তীর্থ বালা সিং এর। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিক্ষক ছেলে সুভাষ সিং এর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

অভিযোগ, নিজের জীবনের শেষ সম্বল জমিটুকু বড় ছেলেকে লিখে না দেওয়াতে আগে থেকেই গন্ডগোল, মারধোর, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ চলত। এবার নিজের ভাগের রেশনের সরকারি চাল তুলে স্কুল শিক্ষক বড় ছেলে সুভাষ সিং এর হাতে মারধোর খেয়ে হাত ভাঙল গর্ভধারিনী মা সত্তর ছুইছুই তীর্থ বালা সিং এর। এমনকি মাকে মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। আক্রান্ত মা এর পক্ষ থেকে বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ থানার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও অভিযুক্ত ছেলে বহালতবিয়তে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বৃদ্ধা তীর্থ বালা সিং জীবনের শেষ সম্বল, জমিটুকু হাতছাড়া করতে নারাজ ছিলেন বরাবই। পার্শ্বশিক্ষক ছেলে সুভাষ সিং জোরপূর্বক তার জমি লিখে দিতে হবে এই নিয়ে, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মায়ের ওপর অকথ্য গালিগালাজ মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত। পরিনীতি হল মায়ের  বাম হাত ভেঙে দেওয়ার।

অভিযোগকারিণী মায়ের অভিযোগ তার জ্যেষ্ঠপুত্র নাম সুভাষ সিংহ, পেশায় প্রাইমারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে জোরপূর্বক জমি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে, তাতে মা রাজি না হওয়ায় প্রায়শই তার বড় ছেলে তাকে মারধর করত। সবশেষে গত বৃহস্পতিবার তার বড় ছেলে তাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেয় এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।ঘটনায় আহত বৃদ্ধ মহিলা তীর্থবালা সিং,তার  আত্মীয় পরিজনরা আহত অসহায় বৃদ্ধ মহিলাকে উদ্ধার করে মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতালে  নিয়ে চিকিৎসা করায়। ইতিমধ্যে বড় ছেলের বিরুদ্ধে মিনাখাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।মিনাখাঁ থানায় পুলিশ  সঠিক বিচার হবে বলে আশ্বস্ত করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন বৃদ্ধাকে। তার পরে কয়েক দিন কেটে গেলেও কোনরূপ সুরাহা মিলেনি বলে জানান ওই আক্রান্ত বৃদ্ধা তীর্থবালা সিং।

এখন আক্রান্ত মা তার নিজের বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বার বার বলছেন তার বড় ছেলের যেন কঠিন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। একবিংশ শতাব্দীতে এই ধরনের ঘটনা আরো একবার প্রমান করল সামাজিক অবক্ষয়, জমি লিখে না দিতে পারায় ছেলে হাতে আক্রান্ত হল মা এটা একটি সামাজিক লজ্জা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =