কলকাতা: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সম্প্রতি তিনি কণ্ঠস্বর নমুনার পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন।তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। হাইকোর্ট জানায়, তদন্তের স্বার্থে এখনই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আবেদনে হস্তক্ষেপ করছে না আদালত।
বৃহস্পতিবার তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চের নির্দেশ, নিম্ন আদালতের নির্দেশে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর আবেদন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রীর মৃত্যু পর প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। তারপর যখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরেন তখন তদন্তের স্বার্থে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সিবিআই স্পেশাল আদালতে একটি বিশেষ আবেদন জানায়। তারা বলে, তদন্তের স্বার্থে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে চায়। গত ১৪ জুলাই ইডির আবেদন মেনে নেন নিম্ন আদালতের বিচারক।
নিম্ন আদালতের এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী কিশোর দত্ত। তিনি এদিন সওয়াল করার সময় বলেন, এভাবে কারও কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া যায় না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিশেষ পরিস্থিতিতে এই অনুমতি দিয়ে থাকে।
যা শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর হাইকোর্ট কেন হস্তক্ষেপ করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিম্ন আদালতের বিচারক হয়তো তদন্তের স্বার্থে এই নির্দেশ দিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে হাইকোর্ট এই ব্যপারে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। এদিন ইডির আইনজীবী জানান, এই মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা খুবই প্রয়োজন। অসুস্থতার কারণে এখন সুজয়কৃষ্ণ হাসপাতালে ভর্তি। হাইকোর্ট সুজয়কৃষ্ণের আবেদনে হস্তক্ষেপ না করায় ইডি হাসপাতালে গিয়েই তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে।