খাতায় কলমে এখনও বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এই মুহূর্তে তাঁর ঠিকান আলিপুর সংশোধনাগার। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিধায়ক জেলবন্দি থাকায় ভুগতে হচ্ছে বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের। আটকে রয়েছে একাধিক সরকারি কর্মকাণ্ডও। আর এই ইস্যুকে সামনে রেখেই অনেকটা তৃণমূলের পথে হেঁটেই বিধায়কের পদত্যাগ করা উচিত কি না তা নিয়ে রবিবার এক জনমত গ্রহণ করে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এর পক্ষ থেকে এরকম একটি নতুন কর্মসূচিতে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়। সেখানে এসে সাধারণ মানুষ এলাকার যাঁরা ভোটার, তাঁরা নিজেদের মতামতও জানান। ডিওয়াইএফই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ভোটেদেখা যাচ্ছে বেহালা পশ্চিমে গণভোট দিয়েছেন মোট ৪৬১ জন। ৫টি ভোট বাতিল হয়েছে। ৪২৬ জন চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দিন। মোট ভোটের সাড়ে ৬ শতাংশ পেয়েছেন পার্থ। বাকি সাড়ে ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তবে এদিনের এই নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বাম নেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায় বিঁধতে ছাড়েননি শাসকদলকে। বলেন, এখানে কোনও ব্যালট লুঠ করা হয়নি তাঁর বক্তব্য, বেহালার মানুষ যাতে পরিষেবা পান তারজন্যই তাঁদের এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এ প্রশ্নও তোলেন, ‘বিধায়কের পরিষেবা পেতে মানুষ কি এবার জেলে যাবে ? কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে। বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। মানুষ কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চান কি চান না, মানুষ তাঁর মতামত দিয়েছেন।’ এরই পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়ে বক্তব্যকে খণ্ডন করে কৌস্তভ এদিন এ প্রশ্নও তোলেন, তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে না কেন তা নিয়েও। পাশাপাশি এ প্রশ্নও তোলেন, এতগুলো তৃণমূল বিধায়কের নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে, তাঁদেরকে কেন পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে না সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।