রাজ্যের শাসকদলের অন্দের নবীন বনাম প্রবীণের দ্বন্দ্ব একসময় বড় আকার ধারণ করেছিল। তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নবীন-প্রবীণকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে চায় বামেরা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে ধরে নিয়েই লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেছে সিপিএম। প্রার্থী তালিকায় তারুণ্যকে অগ্রাধিকার দিলেও নবীন ও প্রবীণের মেলবন্ধন রেখেই এগোতে চায় আলিমুদ্দিন।
পার্টির সিনিয়র ও কট্টরপন্থী নেতাদের কথায়, লোকসভা ভোটে আসন সংখ্যা সীমিত। বিধানসভার মতো বেশি সংখ্যক আসন নেই। তাই অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে প্রবীণদের বড় অংশকেও প্রার্থী তালিকায় রাখা উচিত। তরুণ প্রজন্ম থেকে অবশ্যই প্রার্থী হবে, তবে প্রবীণ বাদ যেতে পারে না। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে নবীনদের সঙ্গে প্রবীণদেরও যেন মেলবন্ধন থাকে প্রার্থী তালিকায়। এমনটাই মত পার্টির সিনিয়র নেতৃত্বের একাংশের। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যুব ও ছাত্র নেতৃত্বের অনেককেই প্রার্থী করেছিল সিপিএম। কিন্তু বিধানসভা ভোটে আসন সংখ্যা অনেক। ফলে তরুণ প্রজন্ম থেকে বেশিজনকে প্রার্থী করার সুযোগ থাকে। কিন্তু লোকসভা ভোটে মাত্র ৪২টি আসন। সুযোগও কম।
পার্টির একাংশের কথায়, ব্রিগেড সমাবেশ জমায়েত ভালো হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের হাতে সমাবেশের রাশ ছেড়ে দিয়ে নতুন বার্তা দিতে পেরেছে আলিমুদ্দিন। সিপিএম মানে বয়স্কদের পার্টি, সেই তকমা পুরোপুরি মুছে দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন। পার্টির বিভিন্ন কমিটিতেও ছাত্র-যুবদের বেশি করে রাখা হচ্ছে। এগারো সালে যেসব মুখকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছিল সেই সব মুখ আর সামনে রাখতে চায় না পার্টি। তাই সামনে নিয়ে আসা হয়েছে আভাস রায়চৌধুরী, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীক-উর-রহমান, দীপ্সিতা ধরদের। আর এই পুরো টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরা। তাই প্রার্থী তালিকা থেকে বুথস্তরের লড়াই, সর্বক্ষেত্রেই ছাত্র-যুবদের সামনে রাখতে চাইছে সিপিএম নেতৃত্ব। পার্টির এর মধ্যেই পার্টির একাংশের দাবি, যেহেতু এটা লোকসভা ভোট, তাই তরুণদের পাশাপাশি প্রবীণদেরও গুরুত্ব দিয়েই তৈরি হোক প্রার্থী তালিকা।