হুমকির অভিযোগ আসতেই কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় ফের তদন্তকারী অফিসার বদল। নতুন তদন্তকারী আধিকারিকের দায়িত্ব দেওয়া হল ডিএসপি বিবেক রঞ্জন রায়কে। এই নিয়ে এই ঘটনায় ২ বার তদন্তকারী অফিসার বদল হল বলে সূত্রে খবর। আগে এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার ছিলেন এস গায়েন। এদিকে এও জানা গেছে, সাক্ষ্যগ্রহণের আগে অভিজিতের মাকে হুমকির যে ঘটনার অভিযোগ শোনা গেছে সরকার পরিবারের তরফ থেকে মকির সেই হুমকির ঘটনার তদন্তও করবেন এই নতুন আধিকারিক বিবেক রায়। একই সঙ্গে এই খুনের মামলার পরবর্তী তদন্তও তিনি করবেন। এর আগে এপ্রিল মাসে বিজেপি কর্মী খুনে তদন্তকারী অফিসার বদল করা হয়েছিল। প্রথমে এই মামলার তদন্ত করছিলেন ডিএসপি র্যাঙ্কের আধিকারিকে তাঁর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন এস গায়েন। তিনি সিবিআই-এর অ্যাডিশন্যাল এসপি র্যাঙ্কের আধিকারিক ছিলেন।
ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা হল এই অভিজিৎ সরকার খুনের মামলা। কাঁকুরগাছিতে তাঁর বাড়ির অদূরেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই মামলায় শাসকদলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্ট এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তে নেমে সিবিআই ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তবে এখনও বেশ কয়েকজন অধরা। তাদের নামে পুরস্কারও ঘোষণা করে আদালত। এই মামলাটি চলতে চলতেই আইনজীবী বদল করা হয়। বদল করা হয় তদন্তকারী অফিসারও।
উল্লেখ্য, সিবিআই-এর তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎ সরকারের দাদা। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই অভিজিতের মা ও দাদাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা প্রত্যাহার না করলে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। সোমবার শিয়ালদহ আদালতে অভিজিতের মায়ের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ ওঠে, তার আগেই শনিবার ও রবিবার তাঁদের বাড়িতে কয়েকজন গুন্ডা গিয়ে হুমকি দেয়। মঙ্গলবার আদালতে ঢোকার মুখেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিতের মা। এরপর নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিজিতের মা ও দাদা। এরপর পরবর্তী মামলার শুনানি হবে বিচারপতি মান্থার এজলাসে।