মীরপুর হচ্ছে না! পরিস্থিতি এমনই। কানপুরেই হয়তো আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ইতি সাকিব আল হাসানের। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের হয়ে বিশ্বকাপেই শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। টেস্টে তাঁর ইচ্ছে রয়েছে, আগামী মাসে মীরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেই এই ফরম্যাটকে বিদায় জানাতে চান। যদিও তা আর হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তার নানা কারণ রয়েছে। হাত তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সাকিব চেয়েছিলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক। কী বলছেন বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ?
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আর দেশে ফেরেননি সাকিব। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলছে। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নিরাপত্ত দিতে পারবে না বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার। আজ সাফ এ কথা জানিয়ে দিলেন বর্তমান ক্রীড়া উপদেষ্টা ও গেল গণআন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। মীরপুরে কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার ক্ষেত্রে সাকিব চেয়েছিলেন, বিসিবির মাধ্যমে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে দেশে ফেরা এবং পরে অন্যত্র যাওয়ার নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন সাকিব।
আজ রবিবার বিষয়টি নিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা প্রতিষ্ঠানের এক অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এ কথা জানান। অবশ্য তিনি জানান, খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আছে। তবে এমপি সাকিবের প্রতি জনগণের মধ্যে যে ক্রোধ সৃষ্টি হয়েছে তার বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন। হাসিনা সরকারে সাংসদ ছিলেন সাকিব। এখন তিনি প্রাক্তন। উপদেষ্টা বলেন, ‘খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে, ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিবের বিপক্ষে জনমনে তৈরী হওয়া ক্রোধ রয়েছে। এর বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা অবান্তর।’
এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্সের দায়িত্বে থাকা শাহরিয়র নাফিস জানিয়েছিলেন, সাকিবের ফেরা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। যদিও বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন, সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব বোর্ডের নয়। একজন সাধারন মানুষ যেমন নিরাপত্তা পান সাকিবও সেই নিরাপত্তা পাবেন। কারণ, কারও নিরাপত্তার দায়িত্ব বোর্ডের নয়।