ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অন্যতম আলোচনার বিষয় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম। অনেক ক্রিকেটারই মন্তব্য করেছিলেন, এই নিয়মের ফলে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব কমবে। আগামী আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকবে কিনা, এ নিয়েও প্রশ্ন ছিল। এই নিয়ম নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যেও বিরোধ ছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের সঙ্গে বোর্ডের বৈঠকেও প্রসঙ্গটি উঠেছিল। বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকবে। আইপিএলে থাকলেও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি থেকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম তুলে নিল ভারতীয় বোর্ড।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সদ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ জিতেছে ভারত। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত সংস্করণে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন নীতীশ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় নীতীশের। তিন ম্যাচেই খেলানো হয়েছে মিডিয়াম পেসার-অলরাউন্ডারকে। ভালো পারফর্ম করেছেন। এরপর অনেকেই মন্তব্য করেন, ইমপ্যাক্ট নিয়মের ফলে যে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব কমছে না, তার অন্যতম প্রমাণ নীতীশ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে রিজার্ভেও রাখা হয়েছে।
আইপিএলের গত সংস্করণে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবেই বেশির ভাগ ম্যাচে খেলেছেন শিবম দুবে। তাঁকে মূলত ব্যাটার হিসেবে ব্যবহার করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। অনেক টিমই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে সুবিধা পেয়েছে। আইপিএলে নিয়ম রাখলেও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সরিয়ে নেওয়া হল। এই নিয়মের ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটে অলরাউন্ডার উঠে আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি যে হতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত এমন সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।