ধানবাদ থেকে এসেছিলেন ডাক্তার দেখাতে বেশ তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে তিনজনকে। সূত্রে খবর, ডাক্তার দেখানোর ফাঁকে কাকা তাঁর দুই ভাইপোকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া দেখাতে। সেখানেই মোবাইল সারানোর জন্য ৬ হাজার টাকা চান এক ব্যক্তি। টাকা না দেওয়ায় গলায় ব্লেড ঠেকিয়ে দুই ভাইপোর মধ্যে এক ভাইপোকে বাসে তোলার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তবে একটাই স্বস্তির ঘটনা যে, অভিযোগ দায়েরের তিন দিনের মধ্যে সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হেস্টিংস থানার পুলিশ। অপহরণের অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে বেশ কিছু তথ্য।
হেস্টিংস থানা সূত্রে খবর, চলতি মাসের ৯ তারিখ ধানবাদ থেকে শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসেন তিন জন। কাকা ও তার দুই ভাইপো ১৩ তারিখ চিকিৎসা করানোর ফাঁকেই ভিক্টোরিয়া ঘুরতে যান। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, কাকা ভিক্টোরিয়া নর্থ গেটের বাইরে ছিলেন ও দুই ভাইপো ভিক্টোরিয়া ঘুরে সাউথ গেট দিয়ে বাইরে এসে কাকাকে না দেখতে পেয়ে খুঁজতে থাকেন। এরই মধ্যে এক ভাইপো মোহরকুঞ্জে রাস্তা ধরে এগোতে থাকে। তখনই এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে। ধাক্কা লাগার পরই ওই ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে একটি ভাঙা মোবাইল দেখিয়ে বলেন ‘সারাই করতে হবে, টাকা দাও’। এতে যুবকটি ভয় পেয়ে যাওয়ায় তাঁর গলায় ব্লেড লাগিয়ে একটি বাসে তুলে নেন। তার মধ্যে অন্যজন দেখে বাসে উঠে যাচ্ছে আরও এক ভাই। এরই মাঝে ৬ হাজার টাকা চাওয়া হয় ফোন করে কাকার থেকে। কাকা ৫৫০০ টাকা দেন, তখন ফের তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাকা তাঁর ভাইপোকে পেয়ে হেস্টিংস থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে অপহরণের। বৃহস্পতিবার রাতে দু’জন গ্রেফতার হয়।