ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। সুষ্ঠ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাই চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনে। অশান্তি রুখতে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে মুড়ে ফেলতে চাইছে কমিশন। ফলে ইতিমধ্যেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করে দিয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী আসবে বলেই জানাল কমিশন। এরইমধ্যে আবার রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিয়মিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠাতে হবে সিআরপিএফ-কে। পরিস্থিতি অনুযায়ী বাহিনীকে যাতে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ২৯ মার্চ থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্য়ে ইমেল মারফত সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে। সফ্ট কপির পাশাপাশি হার্ড কপিতেও দিতে হবে রিপোর্ট। বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে রোজ সকালে রিপোর্ট দেবেন আইজি সিআরপিএফ পশ্চিমবঙ্গ সেক্টর।
উল্লেখ্য বাংলায় যে কোনও নির্বাচনেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এবার লোকসভা ভোটে এই ছবি বদলাতে চায় কমিশন। ১৬ মার্চ ভোট ঘোষণার দিনই এ নিয়ে বার্তা দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছিলেন, ‘যে পরিমাণ ফোর্স রাজ্যগুলিতে যাচ্ছে তার মোতায়েন যেন ঠিকমতো হয়। কোথাও ফোর্সকে বসিয়ে রাখা, কাজ না করানোর ঘটনা যেন না ঘটে। আবার কোথাও যেন ফোর্সকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ না আসে।’ এবার সেই বাহিনী নিয়ে আরও এক ধাপ এগোল সিআরপিএফ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন থেকে শুরু করে, বাহিনী কোথায় কাজ করছে তার উপর কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হল।