উদয়পুরে কানহাইয়া লালের হত্যার পর একই ধরনের ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। আরএসএস (RSS) মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’ (Organizer Weekly) দাবি করা হয়েছিল, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে পোস্ট করায় মহারাষ্ট্রের এক ওষুধের দোকানের মালিকের(Chemist)মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়েছে। সেই ঘটনা গত ২১ জুনের। এবার ওই ঘটনাতেও এনআইএ-কে (NIA) তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
২৯ জুলাই অর্গানাইজার টুইট করেছিল, ২১ জুন রাতে মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় ৫৪ বছর বয়সী উমেশ কোলহেকে। তিনি বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। উমেশের ছবি-সহ ওই টুইটে এও জানানো হয় যে, এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হল আবদুল (২৪), শোয়েব খান (২২), মুদাস্সর আহমেদ শেখ ইব্রাহিম (২২) ও শাহরুখ পাঠান হিদায়েত খান (২৪)। পরে আরও এক দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২১ জুন রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে খুনের ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় দোকান থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন কোলহে। অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্র। বাইকে করে এসে অভিযুক্তরা কোলহেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে চম্পট দেয়। রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন কোলহে। তাঁর ছেলে সঙ্কেত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কোলহেকে বাঁচানো যায়নি।
এতদিন উমেশ হত্যার তদন্ত করছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। এবার সেই তদন্তভার যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এদিন অমিত শাহর (Amith Shah) দপ্তর টুইট করে, ‘গত ২১ জুলাই মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটে। উমেশ কোলের হত্যার তদন্তের দায়িত্ব এনআইয়ের হাতে তুলে দেবে মহারাষ্ট্র পুলিশ।’ নিজেদের বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, এই হত্যার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। কোনও সংগঠন এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত কিনা, আন্তর্জতিক যোগসূত্র আছে কি না, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।