প্রাথমিকে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলার  গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যের, কারণ জানতে চাইল হাই কোর্ট

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নির্দেশে কিছুটা অস্বস্তিতে এসএসসি। ইতিমধ্যে হাই কোর্টের নির্দেশে নিয়োগে বেনিয়ম হওয়ায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে ও সম্প্রতি এক গণিত শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। যাঁরা বর্তমানে বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকেও।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে। তার বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। প্রশ্ন তুলেছে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। পাল্টা যুক্তি দিয়েছে মামলকারী। এরপরই কেন সেই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়, রাজ্যের কাছে তা হলফনামা আকারে জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ নিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে।
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, ফেল করেও বহু প্রার্থী চাকরি করছে। এছাড়া বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এ নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। তাঁর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে জানান, গত এক বছরে ৬ দফায় ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হয়েছে। আরও এক মামলাকারীর অভিযোগ, পরীক্ষায় পাশ না করেও ২০১৭ সাল থেকে চাকরি করছেন হুগলির এক বাসিন্দা।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের দাবি, এই মামলা গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়। আট বছর আগের কোনও বিষয় নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলা কী ভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও মামলাকারীর তরফে অভিযোগ, ওই প্যানেল থেকে ধাপে ধাপে নিয়োগ হচ্ছে। এমনকী এপ্রিলেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা। সব শুনে রাজ্যের হলফনামা চায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × three =